Wednesday, December 31, 2014

ধর্মে কথা বলার বিধান সম্পর্কিত কিছু তথ্য-

জিহ্বা আকারে একটি ক্ষুদ্র মাংশপিন্ড হইলেও ইহা আল্লাহ পাকের এক বিরাট নেয়ামত এবং তাঁহার সূক্ষ অর্থাৎ, ঈমান-এবাদত, আনুগত্য ও এতায়াতের ক্ষেত্রে এই জিহ্বার ভূমিকা যেমন ব্যাপক, তদ্রুপ অনাচার-অনাসৃষ্টি ও পাপাচারের ক্ষেত্রেও এই জিহ্বার ভূমিকা সর্বাধিক ।
জিহ্বার ক্ষতির পরিধি ব্যাপক- বিস্তৃত এবং উহার পরিনতিও বড় ভয়াবহ । ইহা হইতে আত্নরক্ষার একমাত্র উপায় হইল নীরব থাকা । এই কারনেই শরীয়তে নীরব থাকার প্রশংসা করিয়া উহার প্রতি উৎসাহিত করা হইয়াছে ।
রাসুল পাক সাঃ এরশাদ করেছেন-”যে নিরব থাকে সে মুক্তি পায়।” -[তিরমিযি]
অন্য রেওয়াতে আছে,রাসুল পাক সাঃ এরশাদ করেছেন- ”নিরব থাকা হল হেকমত ও প্রজ্ঞা, (কিন্তু) কম লোকই উহার উপর আমল করে।”
একজন সাহাবী রাসুল (সাঃ), এর খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলেনঃ- "ইসলাম সম্পর্কে আমাকে এমন কোন কথা বলে দিন যেন আপনার পরে আর কাহারও নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন না হয়, আমার এ নিবেদনের জবেবে তিনি এরশাদ করলেনঃ-"বল, আল্লাহর উপর ইমান আনিলাম, অতপর এই ইমানের উপর কায়েম থাক,আমি আরজ করিলাম হে আল্লাহর রসুল আমি কোন বিষয় হতে বাচিয়া থাকিব ? জবাবে তিনি জিহ্বার দিকে ইশারা করে বললেন,ইহা হতে বেচে থাক।"-[তিরমিযি,নাসাঈ,ইবনে মাজা,মুসলিম]
আরও একজন সাহাবী রাসুল (সাঃ), এর খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলেনঃ-'নাজাতের উপায় কি ?' রাসুল (সাঃ) এরশাদ করলেন,"জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রনে রাখ,তোমার ঘর যেন তোমার জন্য যথেষ্ট হয়(অর্থাৎ ঘর হতে বের হয়ো না) এবং নিজের গুনাহের জন্য (অনুশোচনার) অশ্রু বর্ষন কর।"-[তিরমিযি]

আল্লাহর হাবিব সাঃ এরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি আমাকে উভয় কানের মধ্যখানের বস্তু(অর্থাৎ জিহ্বা) এবং দুই রানের মধ্য স্হানের বস্তু অর্থাৎ লজ্জাস্হানের নিশ্চয়তা দিবে,আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব।"- [বোখারী]

অন্য হাদিসে আছে, "যে ব্যক্তি নিজের উদর, লজ্জাস্হান ও জিহ্বার ক্ষতি হতে বেচে থাকে,সেই ব্যক্তি সর্বাধিক অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে।” কেননা, মানুষ ব্যপকভাবে এই তিনটি অঙ্গের খায়েসের কারনেই বিপদগামী হয়ে থাকে।"
একবার নবী করিম সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন বিষয়ের কারনে মানুষ অধিক পরিমানে জান্নাতে যাবে ? জবাবে রাসুল (সাঃ) এরশাদ করলেন- "আল্লাহর ভয় ও সচ্চরিত্রতার কারনে।" পুনরায় আরজ করা হলো, সেই বিষয়টিও বলে দিন 'যার কারনে মানুষ জাহান্নামে যাবে' এরশাদ হলো –"দুটি খালি বস্তুর কারনে- মুখ ও ল্জ্জাস্হান।"-[তিরমিযি,ইবনে মাজা]

হযরত মোয়ায বিন জাবাল রাঃ রাসুল পাক সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন, 'সর্বোত্তম আমল কোনটি ?' জবাবে রসুল পাক সাঃ নিজের জিহ্বা মোবারক বের করে উহার উপর আঙ্গুল স্হাপন করলেন(অর্থাৎ নিরব থাকা সর্বোত্তম আমল) [তাবরানী]

হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ হতে বর্নীত,রাসুলে পাক সাঃ এরশাদ করেন,"বান্দার ইমান ততক্ষন পর্যন্ত ঠিক হয় না,যতক্ষন তাহার ক্বলব ঠিক না হয়,বান্দার ক্বলব ততক্ষন ঠিক হয় না,যতক্ষন তাহার জিহ্বা ঠিক না হয়,আর সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না,যার ক্ষতি হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নহে।"

রাসুল পাক সাঃ এরশাদ করেছেন,"দেহের প্রতিটি অঙ্গই আল্লাহপাকের নিকট জিহ্বার ক্ষিপ্রতা সম্পর্কে অভিযোগ করে।"
একদা হযরত মোয়াজ ইবনে জাবাল (রা:) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আরজ করলেন, ”হে আল্লাহর রাসূল (সা:) আমাকে কিছু ওসীয়ত করুন । হযরত মোয়াজের নিবেদনের জবাবে আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন: ”তুমি এমনভাবেআল্লাহ পাকের এবাদত কর যেন আল্লাহকে দেখছ । নিজের নফসকে মৃতদের মধ্যে গন্য কর । তুমি যদি চাও,তবে আমি তোমাকে এমন বিযয় বলবো যা এই সমুদয় বিষয় আপেক্ষা উত্তম ; তিনি হাত দ্বারা নিজের জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন ।” [তাবরানী]

হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলেন, আমার নিকট নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বানী নকল করা হয়েছে যে, আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তির উপর রহম করুন যে কথা বলিলে উপকারী কথা বলে এবং নীরবতা দ্বারা নিরাপত্তা লাভ করে ।(বায়হাকী)

এক ব্যক্তি হযরত ঈসা (আ:)- এর খেদমতে আরজ করল; ”আমাকে এমন কোন আমল বলে দিন, যা দ্বারা আমি বেহেশ্ত লাভ করতে পারব । তিনি বললেন, তুমি কখনো কথা বলিও না । লোকটি আরজ করলো, ইহা তো সম্ভব নহে । তিনি বললেন, তুমি ভাল কথা ব্যতীত অন্য কিছু বলিও না ।”

হযরত সুলাইমান (আ:) বলেন,(মনে কর) কথা বলা যদি রুপা হয়,তবে চুপ থাকা যেন স্বর্ণ ।”

এক বেদুঈন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলো, আমাকে এমন কোন আমল বলে দিন যা দ্বারা আমি জান্নাত লাভ করতে পারবো ।আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন: অভুক্তকে আহার করাও, পিপাসার্তকে পানি পান করাও, সৎকাজের আদেশ কর এবং অসৎ কাজ হইতে নিষেধ কর । তুমি যদি এইরুপ করতে না পার, তবে ভাল কথা ব্যতীত অন্য কোন কথা বলিও না ।

ইমাম গাযযালী (র:)-এর কিছু মূল্যবাণ উপদেশাবলী:-

নিজেকে বড় মনে করা অত্যন্ত জঘন্য পাপ। আত্ম অহংকার দ্বারা প্রকৃত প্রস্তাবে আল্লাহ্ তায়ালার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করা হয়। কেননা, বড়ত্ব একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার প্রাপ্য।
যে পর্যন্ত তুমি নিজের চোখকে হারাম বস্তর প্রতি দৃষ্টিপাত হইতে বিরত করিতে না পারিবে, সে পর্যন্ত গুনাহ হইতে আত্মরক্ষা করিতে পারিবেনা।
অন্তরের মধ্যে লুক্বায়িত নোংরামি তিনটি উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পাইয়া থাকে। ১. অন্যের প্রতি বিদ্বেষ ২. রিয়া বা লোক দেখানোর প্রবণতা এবং ৩. নিজেকে বড় মনে করা।
নিজের চিন্তা, মতামত এবং কাজকর্মকে সর্বাপেক্ষা উত্তম এবং অন্যের সবকিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করার নামই আত্মপ্রশস্তি। এটি একটি মারাত্মক চারিত্রিক রোগ।
সদুপদেশ গ্রহণ করার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি না হওয়া এবং নিজের অভিমত খন্ডিত হইতে দেখিলেই অন্তরে ক্রোধের সৃষ্টি হওয়ার নামই অহংকার, আত্মপ্রশস্তি এবং অহংকার এমন মারাত্মক রোগ যা মানুষকে ধ্বংস করে ফেলে।
“ইলমে দ্বীন” সেই ইলমের নাম যে ইলম মানুষের মধ্যে আল্লাহ্ তায়ালার ভয় জাগ্রত করে; দুনিয়ার লোভ লালসা হইতে দূরে সরাইয়া দ্বীনের কাজে উৎসাহী করিয়া তুলে এবং অন্যায় অনাচার হইতে দূরে সরাইয়া রাখে।
জিহ্বা একটি নরম অঙ্গ। তাতে হাড় নাই। যদি বচন নরম হয় তবেই জিহ্বার স্বার্থকতা, অন্যথায় জিহ্বাই সকল অনর্থের উদ্যক্তা হইয়া দাঁড়ায়।
ইবাদতে কঠিন রাস্তা পরিহার করিয়া মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং যা কিছু কর নিয়মিত চেষ্টা কর।
আল্লাহ্ তায়ালার স্মরণে ব্যস্ত জিহ্বা, আল্লাহ্ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞ অন্তর এবং সচ্চিরত্রা স্ত্রী দুনিয়ার সর্বাপেক্ষা বড় সম্পদ।
আল্লাহ্ তায়ালার নিকট যদি দুআ কবুল করাইতে চাও, তবে হালাল ব্যতীত অন্য কোন কিছু পেটে দিও না।


লিখেছেন- আল-আমিন হোসেইন।
অনুবাদ করেছেন- মাওলানা মহিউদ্দীন খান সাহেব।
সূত্র- · Spiritual saint (আধ্যাত্মিক সাধু-সন্ন্যাসী)

শরীয়ত ও তরিকত

প্রকৃতপক্ষে শরীয়ত ইহতে তরিকতকে এবং তরিকত ইহতে শরীয়তকে পৃথক জানাই পাপ এবং মারেফাত ব্যতীত কোনো এবাদতই হইতে পারে না । শরীয়ত দেহ,তরিকত তাহার প্রাণ। প্রাণ ব্যতীত দেহ যেমন অচল ও অকর্মণ্য,সেইরুপ তরিকত ব্যতীত শরীয়তও অচল,অসম্পূর্ণ ও প্রাণহীন মৃতদেহ মাত্র । মোটের উপর ইসলাম(অর্থাৎ আত্ম সমর্পণ),ইমান ও মারেফাতে এলাহি এই তিনটি মিলিয়া শরীয়ত গঠিত হইয়াছে। অর্থাৎ এই তিনটির সমষ্টিগত অস্তিত্ব বা ব্যবহার নাম শরীয়ত। সুতরাং উহাদের একটি বাদ পড়িয়া গেলেই শরীয়ত অপূর্ণ থাকিয়া যাইবে। ইসলাম ও ইমান লাভ করিবার জন্য মারেফাতে এলাহি হাসেল করাও ফরজ। অতএব ,আহলে মারেফাত না হইলে আহলে শরীয়ত হওয়া যায় না এবং যিনি আহলে শরীয়ত ,তিনিই আহলে মারেফাত “ অহাবীগণ আহলে মারেফাত নহে বলিয়া তাহারা শরীয়ত ইহতেও বঞ্চিত হইয়া থাকে ।মহব্বত ও আদবের অভাব বুদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ তত্বজ্ঞাণের অভাবে সন্দেহ ও অবিশ্বাসে আচ্ছন্ন হইয়া রসুল্লাল্লাহ(দঃ)-এর সহিত এবং তাঁহার প্রতিনিধিস্থানীয় আউলিয়াগণের সহিত দেয়াদবি করিবার দরুন অহাবীদের মন রহমতে এলাহির অভাবে মরিয়া গিয়াছে ।ঐ সকাল কাষ্ঠহৃদয় লোক হইতে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয় । অবশ্য সর্বসাধারণ আহলে শরীয়ত না হইলেও চলিতে পারে ।নেতার প্রতি ভক্তি ও ভালবাসা রাখিয়া কাজ করিয়া গেলেই মুক্তি পাইতে পারিবে,কিন্তু চালক যদি প্রকৃত প্রস্তাবে আহলে শরীয়ত না হয় তাহা হইলে তাহার অনুসরণকারীগণ শুধু আনুষ্ঠানিক কাজ অন্ধের মতো করিয়া চলিলে লাভবান হইতে পারিবে না ।রসুলাল্লাহ(দঃ) এর সময়কার অনুসরণকারীদের কথা আলাদা ।তাঁহাদের তথ্য বুঝিবার কোনো প্রয়োজন ছিল না।মহানতম নেতার আদেশ পালন করাই ছিল তাহাদের জন্য যতেষ্ট,কারণ ,তিনি স্বয়ং ইসলাম । যাহার সঙ্গে যে মহব্বত রাখে তাহার সঙ্গে সে পরকালে মিলিত হইবার সুযোগ লাভ করিবে।ইহা কোরান হাদিসের একটি বিষেষ বক্তব্য ।পাপী তাপী সর্বসাধারণের শুধু ইহার সাহায্যে ক্রমোন্নতি লাভ করিবার আশা করিতে পারে নতুবা নিজে এবাদত করিয়া কোরান হাদিসের অনুমোদন লাভ করিবার মতো এবাদত লইয়া পরকালে যাইতে পারবে-এইরুপ আশা করা কঠিন। রসুল(আঃ) এর প্রতিনিধিস্থানীয় যতো অলিয়ে কামেল যুগে যুগে বিকশিত হইয়া আসিতেছেন তাহাদের সঙ্গে আনুগত্য ও প্রেমের সম্বন্ধ যাহারা রাখিবেন তাহারা সবাই নূরে মোহাম্মাদীর শাফায়াত লাভ করিবেন ।অহাবীরা সেই সুযোগ হইতে বঞ্চিত।তাহারা বলে -আমরা রসুলাল্লাহ(আঃ) এর সরাসরি অনুসরণ করিব।মধ্যস্থ কোনো লোকের অনুসরন আমরা করিব না । পরবর্তী লোকের জন্য হুজুর(আঃ) কে সরাসরি চেনা সহজ নহে এবং তাঁহার অনুসরণ করাও সহজ নহে । কোনো আহলুল্লাহ্র সংস্রব না রাখিয়া শুধু আপন এবাদতের দ্বারা মুক্তিলাভ করা লক্ষ লোকের মধ্যে একজনের সম্ভব হইতে পারে । সংসার জীবনে আমিত্বের বিস্তারিত জাল্কে সুটাইয়া একের দিকে সকল চিন্তাধারা নিবন্ধ করিয়া একের প্রতিষ্ঠা নিজ মনে নিবদ্ধ করিয়া রাখা সহজ বিষয় নহে ।সূক্ষা সত্যের পথে পা রাখা কাহারো পক্ষে এককভাবে মোটেই সহজ নহে ।অথচ কামেল ব্যক্তিগণ হইতে মানুষের মনকে সরাইয়া অহাবীগণ মানুষকে ফেলিয়া দেয় নিতান্ত একা ও অসহায় অবস্থায় ।বাহ্যিক এবাদত এবং আত্মগরিমার পাপ-পঙ্কিলে আবদ্ধ করে তাহাদের মনকে । কোনো মহামানবের ফয়েজ (আধ্যাত্মিক সাহায্যে ব্যতীত ক্ষমালাভ করা এবং জীবদ্দশায় আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ লাভ করা যায় না। এইদিকে আল্লাহ ছাড়া কাহারও দারস্থ হওয়া অহাবী মতে শেরেক ,অথচ নূরে মোহাম্মাদীর দ্বারস্থ না হইয়া আল্লাহর দ্বারস্থ হওয়াই যায় না । হুজুর করীম (সঃ) বলিয়াছেন “আউলিয়াগণ আমার জুব্বার আড়ালে ,আমি ব্যতীত অন্য কেহ তাহাদিগকে চিনিতে পারে না” অর্থঃআল্লাহ যখন যাঁহার নফসের মধ্যে নূরে মোহাম্মাদী প্রদান করেন(নূরে মোহাম্মাদী জাগ্রত ও বিকশিত করিয়া তুলেন)তখন সেই ব্যক্তি উহা দ্বারা আউলিয়াগণকে চিনিতে পারেন । হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ আজমেরী (রঃ) এইরুপ বলিয়াছেন ,যাহার পীর নাই তাহার জন্য রসুলের শাফায়াত নাই।যাহার জন্য রসুলল্লাহ(আঃ) নাই তাহার জন্য আল্লাহর ক্ষমা ও মুক্তি নাই। যাহার পীর নাই শয়তানই তাহার পীর।

 মসজিদ দর্শন -সুফী সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী (র)।

সুলতান-উল-হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী-

সুলতান-উল-হিন্দ,  গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (র) হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৪১ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি চিশতীই উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন। তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয় তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন
তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন। পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন। ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। - See more at: http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTdfMTNfMV80XzFfNDExNDc=#sthash.XiNFeBLM.dpuf
তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন। পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন। ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। - See more at: http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTdfMTNfMV80XzFfNDExNDc=#sthash.XiNFeBLM.dpuf
তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন। পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন। ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। - See more at: http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTdfMTNfMV80XzFfNDExNDc=#sthash.XiNFeBLM.dpuf
তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন। পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন। ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। - See more at: http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTdfMTNfMV80XzFfNDExNDc=#sthash.XiNFeBLM.dpuf
তাঁর পিতার নাম খাজা গিয়াসুদ্দীন হাসান। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। খাজা সাহেব মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতৃহীন হন। পৈতৃকসূত্রে তিনি একটি ফলের বাগান লাভ করেছিলেন। ইব্রাহিম কান্দুযী নামক একজন মজ্জুব বুযুর্গের সংস্পর্শে এসে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি তাঁর ফলের বাগান অন্যদের দান করে দুনিয়াত্যাগী একজন সাধক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন। - See more at: http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMTdfMTNfMV80XzFfNDExNDc=#sthash.XiNFeBLM.dpuf

 তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন পরবর্তীতে তার অনুসারীরা যেমন, কুতুব উল আক্তাব হযরত খাজা সাঈদ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকি (রঃ) , বাবা ফরিদউদ্দিন গাঞ্জশাকার (র) , সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) সহ (প্রত্যেকে ক্রমানুযায়ী পূর্ববর্তীজনের শিষ্য) আরো অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারা এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।

ধারনা করা হয় সুলতান-উল-হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) ৫৩৬ হিজরী/১১৪১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যের চিশতীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পারস্যে বেড়ে উঠেন। পনের বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার পিতার কাছ থেকে একটি বাতচক্র (উইন্ডমিল) ও একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। কিংবদন্তী অনুসারে, একদিন তিনি তার ফলবাগানে পানি দিচ্ছিলেন তখন তার ফলবাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইব্রাহিম কুন্দুজী (কুন্দুজী নামটি জন্মস্থান কুন্দুজ থেকে এসেছে)।. যুবক মইনুদ্দিন তটস্থ হয়ে যান এবং কুন্দুজীকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। এর প্রতিদানস্বরুপ কুন্দুজী মইনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি দেন ও তা খেতে বলেন। এই পর তিনি তার সম্পত্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র গরীবদের মাঝে বিতড়ন করে দেন। এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞনার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বুখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বোখারা থেকে নিশাপুরে আসেন। সেখানে চিস্তিয়া তরীকার অপর প্রসিদ্ধ ছুফি সাধক খাজা উসমান হারুনীর (র) নিকট মুরীদ হন/শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার সেবায় ২০ বছর একাগ্রভাবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে উসমান হারুনী(র) তাকে খেলাফত বা ছুফি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন।


একবার তিনি এক এলাকা দিয়ে সফর করছিলেন এমন সময় দেখতে পেলেন পথিমধ্যে একটি হুজরা শরীফ দেখা যাচ্ছে। সেই হুজরা শরীফ-এর দরজা খোলা রয়েছে। সেই ঘরের ভিতরে একজন আল্লাহ পাক উনার ওলী বসে রয়েছেন হযরত গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি উনার দিকে সেই ওলীআল্লাহ তিনি তাকালেন এবং উনাকে হাত দিয়ে ইশারা করে ডাক দিলে হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হুজরা শরীফ-এর ভিতরে ঢুকার পূর্বে দেখতে পেলেন হুজরা শরীফ-এর দু’দিকে দুটি বাঘ বসে রয়েছে। তিনি ফিকির করলেন নিশ্চয়ই বাঘ দু’টি আল্লাহ পাক উনার ওলী উনার খাদিম হবে। এরপর তিনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলেন। যখন তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন তখন সেই আল্লাহ পাক উনার ওলী বললেন, হে বাবা! আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে মশগুল রয়েছেন। তাহলে আপনি দুটি নছীহত সব সময় মনে রাখবেন যা আপনার জীবনে কাজে লাগবে।
প্রথম নম্বর হচ্ছে, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া কোনো মাখলুকাতকে ভয় করবেন না, একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনাকেই ভয় করবেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছেই সমস্ত কিছু চাবেন বেশি বেশি আরজি ও দোয়া করবেন। হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে “যে চায় সে পায়” আর যে চায় না সে কি করে নিয়ামত পেতে পারে। হযরত গরীবে নেওয়াজ খাজা হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এই দুটি নছীহত মুবারক আমার অনেক কাজে লেগেছে। সুবহানাল্লাহ! উনার জীবনী মুবারকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি যখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশক্রমে হিন্দুস্থানে তাশরীফ আনলেন তখন হিন্দুস্থানের রাজা ছিল পৃথ্বীরাজ। ওই মুহূর্তে হিন্দুস্থানের প্রায় সমস্ত মানুষই ছিল বিধর্মী। কিন্তু হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ওই সমস্ত বিধর্মীদেরকে ভয় পাননি। একাই সমস্ত বাতিল, কুফরী, শিরকী, সমূলে মূলোৎপাটন করে গোটা হিন্দুস্থানে ইসলাম জারি করলেন এবং এক কোটিরও বেশি বিধর্মী উনার মুবারক হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে খাঁটি মুসলমান হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয় যে, হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফাযায়িল-ফযীলত বেমেছাল। এমন ব্যক্তিত্ব যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা স্বয়ং লক্বব মুবারক দিয়েছেন ‘ইয়া কুতুবাল হিন্দ, ইয়া কুতুবাল মাশায়িখ’। উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার কপাল মুবারকে কুদরতীভাবে লিখা উঠেছিলো “হাযা হাবীবুল্লাহ মাতা ফি হুব্বিল্লাহ” অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বহু দেশ ভ্রমণ করেন। তৎকালীন বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত, দার্শনিকসহ অসংখ্য ছুফি সাধকের সাথে সাক্ষাত করেন বলে নানা গ্রন্থে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি ইরাকের বাগদাদে আব্দুল কাদির জিলানীর সাহচর্যে ৫৭ দিন অবস্থান করেন। তার জীবনীতে বর্ণিত আছে যে, এ সময় আব্দুল কাদির জিলানী তাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ইরাকের দায়িত্ব শায়েক শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে আর হিন্দুস্থানের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হলো। একই সংবাদ নিজ পীর খাজা ওসমান হারুনীর সাথে মদীনায় অবস্থান ও জিয়ারতকালে নবী মুহাম্মদ এর পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি আরব হতে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান হয়ে প্রথমে লাহোর পরে দিল্লী হয়ে আজমিরে বসতি স্থাপন করেন।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক ছুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর উসমান হারুনীর নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিনি কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার খাকীকে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পন করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় পর্দা গ্রহন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তার বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তার সমাধিস্থলে ওরছ অনুষ্ঠিত যাতে নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হয়।

তথ্যসূত্র-  উইকিপিডিয়াThe Daily Al Ihsanদৈনিক ইত্তেফাক
ইত্তেফাক

Monday, December 29, 2014

মারিফত কি ?



মারিফত কি ?
আমরা অনেকেই বলে থাকি মারিফত অতি গোপনেরও গোপন ৷ আসলে সেই গোপনেরও গোপনটা কি ? আমরা যাহা দেখি নাই এবং চিনিও নাই তাহাই গোপন, যাহা দেখতে পাই বা চিনা জানা হয়েছে তাহা গোপন নয়, প্রকাশ ৷ মারিফতের সংঙ্গা অনেক ভাবে হতে পারে, আমি সংক্ষেপে বললাম ৷ মারিফত হলো আপন মুর্শিদের উছিলার মাধ্যমে নিজেকে অর্থাৎ আপন অজুদকে/দেহের মোকাম মঞ্জিলকে চিনা এবং জানা ৷ যাহা আমি অতীতে দেখিও নাই চিনিও নাই ৷ আর এই অদেখা, অচেনা, অবুঝা, বিষয়টি সুন্দর ভাবে বুঝে, চিনে, নিজেকে/অজুদকে চিনার মাধ্যমে আল্লাহ তথা রবকে চেনার নাম, জানার নাম, বুঝার নামই মারিফত অর্থাৎ "মান আরাফা নাফসাহুর" কর্ম সাধনা যার মাধ্যমে "ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু" কে চেনা যায় এবং জানা যায় ৷
আমি একটি ছোট্র উদাহরন দিতে চাই, আসলে মারিফত কি ?
যেমন দরুন এক জন লোক বলল, আমি এক গ্লাস শরবত পান করিব ৷
১) শুধি পাঠক এখানে আমি এক গ্লাস শরবত পান করিব দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করা হলো, যাহা শরিয়ত ৷
২) শরবত পান করতে বললেই শরবত পান করা হয় না, শরবত তৈরীর একটা পাত্রের প্রয়োজন হয়, যাহা তরিকত ৷
৩) শরবত পান করতে হলে শরবত তৈরীর উপাদানের প্রয়োজন হয়, যেমন পানি, চিনি, লবন, লেবু এবং একটি পাত্র, এই সব গুলো উপাদানের যেই মিশ্রনটি তৈরী হয়, তাহাই হলো হাকিকত ৷
৪) শরবত তৈরীর মিশ্রন থেকে শরবত তৈরী হলো, কিন্তু এর স্বাদ কি ? শরবত পান না করলে কি বুঝা যাবে ? এর স্বাদ পান করার পরই অনুভব করা যায়, আর সেই আস্বাধন করা স্বাদের নামই মারিফত ৷
আমরা যখন সাধন পথে অগ্রসর হই, তখন একজন কামেলে মোকাম্মেলের সরনাপন্য হই, আর সেই কামেলে মোকাম্মেলের উছিলার মাধ্যমে আপনার আপনকে চেনা এবং জানা যায় ৷ আর সেই চেনা জানার নামই হলো মারিফত৷

লিখেছেন- দ্বীন মোহাম্মদ চিশতী নিজামী ৷
তথ্যসূত্রঃ  Spiritual Worship (আধ্যাত্মিক সাধনা)

Contact Form

Name

Email *

Message *