গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) এর পত্র

হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তিনি তার প্রধান খলিফা হযরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকিকে উদ্দেশ্য করে লিখে পাঠিয়ে ছিলেন।
দরদমান্দ তালেব (ব্যথিত অন্বেষণকারী), আরজুমান্দ ওয়া এস্তিয়াকে শওকে
দিদারে এলাহি (আল্লাহর দিদারের আগ্রহী ও আশাবাদী), দরবেশে জাফাকেশ
(অত্যাচারিত দরবেশ), ভাই খাজা কুতুবুদ্দিন দেহলবি, আল্লাহ্ তোমাকে দোজাহনের
সৌভাগ্য দান করুন।
আমার সালাম জানবে। পর সমাচার এ যে, একদিন আমার
হাদিয়ে রওশন জামির খাজা উসমান হারুনির খেদমতে খাজা নজমুদ্দিন ছোগরা, খাজা
মুহাম্মদ তারেক ও এ অধম উপস্থিত ছিল।’ এমন সময় এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত
হয়ে জিজ্ঞেস করলো ‘এটা কী করে অবগত হওয়া যায় যে, কার কোরবে এলাহি (আল্লাহর
নৈকট্য) হাসিল হয়েছে ?’ খাজা উসমান হারুনি জবাবে বললেন,‘নেক আমল করার
ক্ষমতা লাভ করাই এর বড় দলিল।’ নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, যে ব্যক্তি নেক আমল
করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে তার সামনে কোরবে এলাহির দরজা খুলে গেছে। এক
ব্যক্তির একটা ক্রীতদাসী ছিল।ক্রীতদাসীটি প্রতিদিনি গভীর রাতে জাগরিত হয়ে
অজু করে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করতো।এটা তার প্রাহ্যহিক নিয়ম ছিল। নামাজ
শেষে সে মোনাজাত করে বলতো, ‘হে খোদা, আমি তোমার নৈকট্য লাভ করেছি। আমকে
তোমার এ নৈকট্য থেকে কখনো দুরে সরিয়ে দিয়ো না।’ একদিন ক্রীতদাসীটির প্রভু
তার এ রকম প্রার্থনা শুনে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কিভাবে অবগত হলে যে, তুমি
খোদার নৈকট্য লাভ করেছো।’ জবাবে সে বললো, ‘যখন খোদা আমাকে প্রতিদিনি
অর্ধরাতে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিয়ে দু রাকাত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান
করেছেন তখান এটা বেশ উপলব্ধি করতে পারি যে, আমি তাঁর নৈকট্য লাভ করেছি।’
একথা শ্রবণ করার পর লোকটি তার ক্রিতদাসীকে আজাদ করে দিয়েছিল।
অতএব
ইনসানের একান্ত কর্তব্য হলো, সে দিবারাত্র আল্লহর এবাদত বন্দেগিতে মশগুল
থেক বান্দাগণের দফতরে স্বীয় নাম সন্নিবেশিত করে লয় এবং নফস ও শয়তানের
ধোকাবাজি থেকে রক্ষা পায়। ওয়াসসালাম
তথ্য সুত্র : আসরারে হকিকি এবং দেওয়ান এ মইনুদ্দিন
No comments:
Post a Comment