Sunday, February 16, 2014

পীড়নে পীর দস্তগির গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী- ১

গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ)
পীড়নে পীর দস্তগির গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) ১লা রমজানুল মোবারক হিজরী ৪৭০ বা ৪৭১ সালে পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ এ জনপদে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা হযরত সায়েদ শেখ আবু সালেহ (রঃ) ছিলেন একজন কামেলদার সুফি এবং মাতা  সাইয়েদেনা ফাতেমা (র:)। তার পিতৃকুলের একাদশতম উর্ধ্বতন পুরুষ ছিলেন হযরত হাসান (র:) এবং তার মাতা সাইয়েদেনা ফাতেমা (রঃ) এর চৌদ্দতম উর্ধ্বতন পুর্বপুরুষ ছিলেন হযরত ইমাম হোসেইন (রঃ)।

বড় পীর যখন মাতৃগর্ভে  তার মাতা সাইয়্যেদেনা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রঃ) একদিন স্বপ্ন দেখেন জগতের আদি মাতা হজরত হাওয়া (আঃ) আনন্দের সাথে বলছেন- "ওহে ফাতেমা তুমি এই মাকলুকাতের ভাগ্যবতী মহিলা, তোমার গর্ভে যে সন্তান আছে, সে হবে আওলিয়াকুল শিরমনি গাউসুল আজম।”

 হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(রঃ) এর বয়স যখন মাত্র ৫ বৎসর তখনই তিনি পিতৃহীন হন।তার লালন-পালন ও পড়াশোনার দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের উপর। তার মা চরকায় সুতা কেটে জিবীকা নির্বাহ করতে শুরু করেন।মাতা পুত্রকে কখনও কখনও অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়।যেদিন ঘরে কিছু খাবার না থাকতো তখন মা বলতেন,”আজ আমরা আল্লাহপাকের মেহমান।”
 
পীড়নে পীর দস্তগির গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) একদিন উদাস মনে নদীর পারে বসে ছিলেন। ঐ সময়  একটি আপেল ভেসে যাচ্ছিল,  তিনি ফল টি খেয়ে ফেলেন, খেয়ে ফেলার পর তার মনে হল সে যে ফল টি খেল তা কথা থেকে এসেছে, তার ফল টি খওয়া টি ঠিক হয়নি তাই তিনি স্রতের উল্টো দিকে হাটা শুরু করল ফলের মালিকের খুজে বের করার জন্য। হাঁটতে হাঁটতে ফলের বাগানের মালিক কে খুজে পেল। সেই বাগানের মালিক ছিলেন
সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ সাউয়েমী (রঃ)। তিনি ছিলেন অনেক বড় মাপের সূফী। বড় পীর যখন তার সব কথা খুলে 
 বললেন এবং ফল টি খেয়ে ফেলার জন্য ক্ষমা চেলেন সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ সাউয়েমী (রঃ) বিস্মিত মনে মনে ভাবলেন এই যুবকের অন্তরে তো অনেক আল্লাহভীতি, একেতো হাত ছাড়া করা যায় না। তিনি বললেন, ‘আপেলেরতো অনেক মুল্য।কি এনেছ তার জন্য ?’ আবু সালেহ জবাব দিলেন,’আমার কাছেতো কোন টাকাপয়সা নেই’ তবে গায়ে খেটে মুল্য পরিশোধ করতে চাই।আপনি যতদিন খুশী গায়ে খাটিয়ে নিতে পারেন।’হজরত সাউয়েমী র: বললেন ওয়াদা করবার আগে ভাল করে ভেবে দেখ। আবু সালেহ বললেন আমি ওয়াদা পুর্ন করবো ইনশাআল্লাহ। সাউয়েমী (রঃ) বললেন তোমাকে পুরো এক বৎসর বাগানের দেখাশোনার কাজ করতে হবে উপরন্তু আমি যখন যে কাজের হুকুম দিব তাই করতে হবে। কোন কথা ছাড়াই সব শর্ত মেনে নিলেন আবু সালেহ।সময় শেষ হবার পর নুতন শর্ত যুক্ত করলেন সাউয়েমী র:।তিনি বললেন ‘আমার একটি অন্ধ,বধির ও বোবা কন্যা আছে তাকে তোমার বিয়ে করতে হবে’। তাতেও রাজী হলেন আবু সালেহ।বিয়ের পর বাসর ঘরে ঢুকেই তাজ্জব বনে গেলেন আবু সালেহ।তার নব বধুতো অপরুপা! অন্ধ,বধির বা বোবা কিছুই নন।পরদিন ব্যখ্যা দিলেন সাউয়েমী র:।আমার এই কন্যা কোনদিন ঘরের বাইরে যায়নি,বাইরের কোন লোকের দিকে কখনো চোখ তুলে তাকায়নি এবং তার মুখে কখনও অশ্লীল বাক্য উচ্চারিত হয়নি।তাই তাকে আমি অন্ধ,বধির ও বোবা বলেছিলাম।


বাল্যবয়সেই পীড়নে পীর দস্তগির গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর জীবনে বিভিন্ন আলৌকিক ঘটনাও ঘটতে শুরু করে।একবার সমবয়সী বালকদের সাথে খেলায় যোগ দেয়ার ইচ্ছা করলে গায়েবী আওয়াজ এলো,”হে বরকতময় সত্তা ,আমারকাছে এসো!”কথা শোনা গেলেও কন্ঠটি কার বা কোথ্থেকে এলো কিছুই তিনি বুঝতে পারলেন না।তাছারা কোন লোকও তিনি সেখানে দেখতে পেলেন না।তাই ভয়ে দৌড়ে তিনি ময়ের কাছে চলে এলেন। এরকম আরো বহুবার হয়েছে।

 একবার নিদ্রাকাতর অবস্হায় সুখময় নিদ্রা যাচ্ছিলেন।এমন সময় ঘুমের ঘরে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন-একজন
উজ্জল জ্যোতিবিশিষ্ট স্বর্গীয় ফিরেশতা তাহার শিয়রের নিকট এসে অত্যন্ত কোমল স্বরে বলিতেছেন- ”হে আল্লাহর মনোনিত আব্দুল কাদির!উঠ,আর নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থেক না।সুখ শয্যার কোলে ঢলে পড়বার জন্য এই পৃথিবিতে তোমার আগমন ঘটেনি।তোমার কর্তব্য ও দায়িত্ব সুদুরপ্রসারী! মোহগ্রস্হ,নিদ্রাচ্ছন্ন জনগনকে নিদ্রার মোহ থেকে মুক্ত করিবার জন্যই তোমার আগমন ঘটেছে।



সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ৩) সংক্ষিপ্ত জীবনী







Saturday, February 15, 2014

সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ৩) সংক্ষিপ্ত জীবনী

সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ৩) এছাড়াও হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া  নামে পরিচিত , তিনি ভারতীয় উপমহাদেশ মধ্যে চিশতিয়া তরিকার একজন বিখ্যাত সূফী আউলিয়া ছিলেন। .তিনি ভারতে চিশতিয়া তরীকার মহান সূফীদের একজন। তার পূর্বসুরীদের মধ্যে হজরত ফরিদ গাঞ্জশাকার, হজরত বখতিয়ার কাকী এবং গরীবে নেওয়াজ হজরত খাজা মঈনউদ্দীন চিশতী (রঃ) ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের চিশতিয়া তরিকায় আধ্যাত্মিক চেইন বা সিলসিলা।

হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রঃ), তার পূর্বসুরীদের মত, ঈশ্বর কে বুঝতে ভালোবাসার জোর এবং তার জন্য ঈশ্বরের প্রেম মানে মানবতার প্রেম এ বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন। তার ধর্ম - নিরপেক্ষতা ও উদারতা এবং অত্যন্ত প্রসূত জ্ঞানের জন্য দিল্লি মুসলমানদের উপর তার প্রভাব আর উপলব্ধ বিস্তার হয়েছিল। ১৪ তম শতাব্দীর ইতিহাসলেখক জিয়াউদ্দিন বারানি দাবি করেন, যে দিল্লি মুসলমানদের উপর তার প্রভাব এবং উপলব্ধীর কারনে তাদের পার্থিব বিষয়ের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়।

১৬ শতকে মোঘল সম্রাট আকবর এর উজির আবুল-ফাযল ইবনে মুবারাক লিখিত "আইন-ই-আকবর" এ উল্লেখ আছে সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ)  উত্তর প্রদেশের ( দিল্লি পূর্ব ), বাদাউন এ জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা হজরত আহমদ বাদাউনি মৃত্যুর পর তিনি তার মা বিবি জুলেখা সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন।

বিশ বছর বয়সে,হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া আজওধান ( পাকিস্তান উপস্থিত পাকপাতাআন শরীফ ) যান এবং সেখানে হজরত বাবা ফরিদ নামে পরিচিত সুফী সন্ত ফরিদ গঞ্জেসাকার (রঃ) এর সাথে দেখা হয় এবং তিনি তার বায়াত নেন। হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া আজওধানে স্থায়ী বসবাস করলেন না। তিনি একযোগে সুফী ধার্মিক পদ্ধতি এবং নির্ধারিত litanies জন্য  দিল্লিতে তাঁর আধ্যাত্মিক গবেষণার সঙ্গে অব্যাহত থাক্লেন। তিনি বাবা ফরিদ গাঞ্জসাকার (রঃ) কাছে প্রতি বছর রমজান মাস কাটাতেন। যখন তিনি তৃতীয় বার বাবা ফরিদ এর কাছে আসেন, বাবা ফরিদ গঞ্জসাকার (রঃ) তাকে তার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া দিল্লী ফিরে আশার কিছু দিন পরই  বাব ফরিদ (রঃ) পর্দা গ্রহন করেন।
হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া গিয়াসপুর খানকা শরিফ করার আগে দিল্লির বিভিন্ন শহরে বসবাস করেন।শহর জীবনের গোলমাল এবং তাড়াহুড়া জন্য তিনি এখানে খানকা শরিফ করেন।

তিনি ১৫২৫ সালের ৩ই এপ্রিল  সকালে পর্দা গ্রহন করেন। তার দরগা দিল্লিতে অবস্তিত, উনার গরগা  বর্তমান কাঠামো ১৫৬২ সালে নির্মাণ করা হয়। তার পর্দা গ্রহনের দিন প্রতি বসর এখানে ওরস হয় এবং লাখ লাখ মানুষ তার দরগা জিয়ারত করতে আসেন।

তথসুত্রঃ উইকিপিডিয়া


গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) এর পত্র


পীড়নে পীর দস্তগির গাউসেল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী- ১

Friday, February 14, 2014

গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) এর পত্র

হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) তিনি তার প্রধান খলিফা হযরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকিকে উদ্দেশ্য করে লিখে পাঠিয়ে ছিলেন।
দরদমান্দ তালেব (ব্যথিত অন্বেষণকারী), আরজুমান্দ ওয়া এস্তিয়াকে শওকে দিদারে এলাহি (আল্লাহর দিদারের আগ্রহী ও আশাবাদী), দরবেশে জাফাকেশ (অত্যাচারিত দরবেশ), ভাই খাজা কুতুবুদ্দিন দেহলবি, আল্লাহ্ তোমাকে দোজাহনের সৌভাগ্য দান করুন।
আমার সালাম জানবে। পর সমাচার এ যে, একদিন আমার হাদিয়ে রওশন জামির খাজা উসমান হারুনির খেদমতে খাজা নজমুদ্দিন ছোগরা, খাজা মুহাম্মদ তারেক ও এ অধম উপস্থিত ছিল।’ এমন সময় এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো ‘এটা কী করে অবগত হওয়া যায় যে, কার কোরবে এলাহি (আল্লাহর নৈকট্য) হাসিল হয়েছে ?’ খাজা উসমান হারুনি জবাবে বললেন,‘নেক আমল করার ক্ষমতা লাভ করাই এর বড় দলিল।’ নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, যে ব্যক্তি নেক আমল করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে তার সামনে কোরবে এলাহির দরজা খুলে গেছে। এক ব্যক্তির একটা ক্রীতদাসী ছিল।ক্রীতদাসীটি প্রতিদিনি গভীর রাতে জাগরিত হয়ে অজু করে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করতো।এটা তার প্রাহ্যহিক নিয়ম ছিল। নামাজ শেষে সে মোনাজাত করে বলতো, ‘হে খোদা, আমি তোমার নৈকট্য লাভ করেছি। আমকে তোমার এ নৈকট্য থেকে কখনো দুরে সরিয়ে দিয়ো না।’ একদিন ক্রীতদাসীটির প্রভু তার এ রকম প্রার্থনা শুনে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কিভাবে অবগত হলে যে, তুমি খোদার নৈকট্য লাভ করেছো।’ জবাবে সে বললো, ‘যখন খোদা আমাকে প্রতিদিনি অর্ধরাতে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিয়ে দু রাকাত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করেছেন তখান এটা বেশ উপলব্ধি করতে পারি যে, আমি তাঁর নৈকট্য লাভ করেছি।’ একথা শ্রবণ করার পর লোকটি তার ক্রিতদাসীকে আজাদ করে দিয়েছিল।

অতএব ইনসানের একান্ত কর্তব্য হলো, সে দিবারাত্র আল্লহর এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেক বান্দাগণের দফতরে স্বীয় নাম সন্নিবেশিত করে লয় এবং নফস ও শয়তানের ধোকাবাজি থেকে রক্ষা পায়। ওয়াসসালাম

তথ্য সুত্র : আসরারে হকিকি এবং দেওয়ান এ মইনুদ্দিন 

 

সুলতান উল মাশায়েখ , মেহবুব ই ইলাহী , হযরত শায়খ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রাঃ) (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ৩) সংক্ষিপ্ত জীবনী

হযরত শাহ্জালাল (রহঃ)-এর জীবনী (৫৯৭ হিঃ-৭৪৭হিঃ) (১১৯৭-১৩৪৭)

 

 

হযরত শাহ্জালাল (রহঃ)-এর জীবনী (৫৯৭ হিঃ-৭৪৭হিঃ) (১১৯৭-১৩৪৭)


১৪ শতাব্দীতে যে সকল অলি-আউলিয়ারা বর্তমান বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে ভূমিকা রেখেছেন তাদের একজন হলেন হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহঃ)। ভারত উপমহাদেশে খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রহঃ)-এর পরে এই ভূখণ্ডে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন হযরত শাহ্জালাল ইয়েমেনী (রহঃ)। তিনি আরবের দক্ষিণে অবস্থিত ইয়েমেন রাজ্যে হাডরামন্টের কুনিয়া শহরে ৫৯৭ হিজরি ১১৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কারো কারো মতে তিনি তুরস্কের কোনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তবে অধিকাংশের মতে তিনি ইয়েমেনেই জন্মগ্রহণ করেছেন বলে ধরা হয়। তাঁর পিতা শায়খ মুহম্মদ যিনি প্রখ্যাত সূফী জালাল আদ্ দ্বীন মুহম্মদ রুমী (রহঃ)-এর সমসাময়িক ছিলেন এবং মাতা সৈয়দা ফাতিমা হাসিনা সাইদা। জন্মের তিন মাসের মধ্যেই তিনি তাঁর স্নেহময়ী মাকে হারান ও কিছুদিন পরে তিনি তাঁর বাবাকেও হারান। পিতৃ ও মাতৃহারা শাহজালাল তাঁর নিকটাত্মীয় মামা ও আধ্যাত্মিক গুরু সৈয়দ আহমদ কবিরের আদর স্নেহে বড় হতে থাকেন।


গজার মাছ
হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর নসবনামা বা বংশ তালিকা :
# হযরত আলী (রাঃ)
# হযরত ফাতেমা (রাঃ)
# ইমাম জয়নুল আবেদীন (রাঃ)
# ইমাম জায়েদ (রাঃ) # ইমাম আলী আসগর (রাঃ)
# ইমাম তাজউদ্দিন তাইজী (রঃ)
 # ইমাম সৈয়দ জাফর সাদিক (রাঃ)
# ইমাম ইব্রাহীম কোরেশী (রঃ)
# হযরত জালাল উদ্দিন সুরুখ (রঃ)
# শায়েখ মহাম্মদ (রঃ)
 # হযরত ফাতিমা হাসিনা সাইদা (রঃ)
# হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রঃ)


জালালি কবুতর
হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর শাজরা শরিফ
# হযরত মুহম্মদ (দঃ)
# হযরত আলী কারামুল্লাহ (রাঃ)
# হযরত হবিব আজমী (রহঃ)
# হযরত শেখ হায়দর আলী (রহঃ)
# হযরত শেখ মারুফ কারখী (রহঃ)
# হযরত শেখ সরিস খতি (রহঃ)
# হযরত মমসাদ দিনুরী (রহঃ)
# হযরত শেখ মুহাম্মদ (রহঃ)
# হযরত শেখ আহমদ দিনুরী (রহঃ)
# হযরত শেখ অজি উদ্দিন (রহঃ)
# হযরত আবু নছর জিয়া উদ্দিন (রহঃ)
# হযরত মখদুম বাহাউদ্দিন (রহঃ)
# হযরত আবুল ফজল সদর উদ্দিন (রহঃ)
# হযরত রোকনুদ্দিন আবু ফতাহ (রহঃ)
# হযরত জালাল উদ্দিন বোখারী (রহঃ)
# হযরত সৈয়দ আহমদ কবির (রহঃ)
# হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহঃ)


হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর শিক্ষা শেষে কুরআনে হাফেজ ও ইসলামি দর্শন ও তত্ত্বশাস্ত্রেও প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি জাহেরি জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ধ্যান সাধনার মাধ্যমে বাতেনি জ্ঞান অর্জন করেন এবং তিনি প্রায় ত্রিশ বছর বয়সেই আধ্যাত্মিক সূফী জ্ঞানে পরিপূর্ণতা বা কামালিয়াত অর্জন করেন।
ইতিহাস থেকে জানা যায় হযরত শাহজালাল (রহঃ) একদিন স্বপ্নযোগে রাসুলে পাক (দঃ)-এর পক্ষ থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের গৌড় রাজ্যে ইসলাম প্রচারের জন্য আদেশপ্রাপ্ত হন। তিনি এই স্বপ্নের কথা তাঁর স্বীয় মুর্শিদ হযরত সৈয়দ আহমদ কবির (রহঃ)-এর কাছে বলার পরে তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর হাতে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেছিলেন- ‘যে মাটির রং ও গন্ধ এই মাটির সঙ্গে মিলবে সেখানেই তুমি অবস্থান নেবে এবং সেখান থেকেই তুমি ধর্ম প্রচার করবে।’ ভারতে আগমনের বহু পূর্বেই তিনি উচ্চস্থানীয় আধ্যাত্মিক সূফী সাধক বা কামেল অলি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। হযরত শাহ্জালাল স্বীয় মুর্শিদের আদেশ পেয়ে ১২ জন দরবেশকে সঙ্গে নিয়ে হিন্দুস্থান তথা ভারতের উদ্দেশে রওনা হলেন। তবে তিনি প্রথমে তার জন্মস্থান ইয়েমেনে শেষবারের মতো যান। ইয়েমেনে এই সাধক মহাপুরুষের আগমন সংবাদে অনেক সত্যান্বেষী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যাকুল হলে তৎকালীন অত্যাচারী শাসক হযরত শাহজালাল ইয়েমেনীকে হত্যার উদ্দেশে বিষ মিশিয়ে শরবত প্রেরণ করেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তার দিব্যজ্ঞান দ্বারা শাসকের দুরভিসন্ধি বুঝে ফেলেন এবং মুচকি হেসে বললেন ‘এই পানপাত্রের শরবত সাধারণের জন্য বিষ মিশ্রিত হলেও আমি মুসাফির ফকিরের কাছে তা অমৃতের মতো এবং মধুমিশ্রিত এই বলে তিনি তা পান করেন। আল্লাহর অলিদের আল্লাহ স্বয়ং রক্ষা করে থাকেন; কোনো বিষক্রিয়া তো দেখাই গেলো না বরং রাজা নিজ রাজপ্রসাদেই বিষের যন্ত্রণায় প্রাণ হারালেন। পরবর্তীতে ঐ রাজার পুত্র রাজার স্থলাভিষিক্ত হলেও তিনি পরবর্তীতে রাজ্য ত্যাগ করে হযরত শাহজালালের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন।
হযরত শাহজালাল (রহঃ) ইয়েমেন থেকে বাগদাদে আসেন এবং সেখানে কিছুদিন অবস্থানের পর পারস্যে আসেন। পারস্য থেকে তিনি আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান হয়ে ১৩০৩ সনে দিল্লিতে পৌঁছান। ভারতে পৌঁছার পর তিনি হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী [১১৪১-১২৩০] (রহঃ)-এর মাজার জিয়ারত করে তাঁর কাছ থেকেও ফায়েজপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তিনি সুলতানুল মাশায়েখ হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া [১২৩৮-১৩২৫] (রহঃ)-এর আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। বিদায়কালে তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-কে সুরমা রংয়ের দুই জোড়া কবুতর উপহার দেন যা ‘জালালি কবুতর’ নামে সর্বাধিক পরিচিত। ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান বা অন্য সম্প্রদায়ের কেউ এই কবুতরকে হত্যা করে না কেননা মানুষের মনের বিশ্বাস যে, এই কবুতর কেউ হত্যা করলে তার অমঙ্গল নিশ্চিত। আবার এই কবুতর আপন ইচ্ছায় কারো গৃহে বাসা বাঁধলে তার মঙ্গল সুনিশ্চিত। হিন্দু মুসলমানসহ সকলের কাছে এই ধারণা যুগ যুগ থেকে চলে আসছে। প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হযরত শাহজালাল তাঁর মহানুভবতা দিয়ে এই পায়রা শ্রেণীকে নতুন এক মর্যাদা দান করেছেন।
তৎকালীন শ্রীহট্টের অধিপতি রাজা গৌড় গোবিন্দ জাদুবিদ্যায় পারদর্শী একজন মুসলিম বিদ্বেষী শাসক ছিলেন। তৎকালীন শ্রীহট্ট বর্তমান সিলেট শহরের পূর্বদিকে টোল টিকর নামক স্থানে শেখ বুরহানউদ্দিন নামে একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি সন্তানপ্রাপ্তির আশায় একটি গরু কুরবানির মানত করেন এবং আল্লাহ তাকে একটি পুত্রসন্তান দান করেন। শেখ বুরহানউদ্দিনের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জগতের সকল সুখ-দুঃখ আল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং এর পেছনে তাঁর নিগূঢ় উদ্দেশ্য লুকায়িত থাকে যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। যথারীতি পুত্রপ্রাপ্তির পর তিনি গরু কুরবানি করেন। কুরবানির এক টুকরা গোশত চিল ছোঁ মেরে নিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে তা গৌড় গোবিন্দের প্রাসাদের সামনে পড়ে। রাজা ক্রোধান্বিত হয়ে গো হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন এবং অনুসন্ধানে শেখ বুরহানউদ্দিনকে দায়ী করে রাজার সামনে উপস্থিত করা হয়। শেখ বুরহানউদ্দিন অকপটে গরু জবাইয়ের কথা স্বীকার করলে রাজা তার ডান হাত কেটে নেন এবং শিশুসন্তানটিকে হত্যা করেন।
অশান্তি আর মানসিক যন্ত্রণা তাড়া করে বেড়াতে লাগলো শেখ বুরহানউদ্দিনকে। পুত্রশোকে কাতর শেখ বুরহানউদ্দিন পাগলপ্রায় হয়ে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিনের দরবারে পৌঁছে রাজা গৌড় গোবিন্দের অত্যাচারের নির্মম কাহিনী বর্ণনা করে নালিশ জানান। সুলতান এই করুণ কাহিনী শুনে বড়ই মর্মাহত হলেন এবং রাজাকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য স্বীয় ভগ্নিপুত্র সেকান্দার শাহ্কে প্রধান করে সৈন্যসহ শ্রীহট্টে পাঠান। সেকান্দার শাহ্রে বাহিনী শ্রীহট্টে পৌঁছার পূর্বেই রাজা গৌড় গোবিন্দ তাদের ওপরে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করেন। সৈন্যদের অগ্নিবাণ সম্বন্ধে ধারণা না থাকায় বহু সৈন্য নিহত হয়। সেকান্দার শাহ্ এই অবস্থা দেখে পশ্চাৎপদ হয়ে আরো প্রায় দুবার প্রচেষ্টা করেও সফল হতে পারলেন না এবং তিনি তা দিল্লির সম্রাটকে অবহিত করেন। দিল্লির সম্রাট সৈয়দ নাসিরউদ্দিন শাহ্কে সেকান্দার শাহ্কে সহযোগিতার জন্য প্রেরণ করেন। অতঃপর তিনি দিল্লি থেকে এলাহাবাদে পৌঁছালে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সাইয়্যেদ নাসিরউদ্দিন হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মুরিদও হয়ে গেলেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) ইয়েমেন থেকে ১২ জন সঙ্গী নিয়ে রওনা করলেও শ্রীহট্টে আসার সময় তার সঙ্গী সংখ্যা ছিল ৩৬০ জন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) ৩৬০ জন শিষ্য এবং বাদশাহের প্রেরিত সেনাদলসহ সোনারগাঁওয়ে সেকান্দার শাহ্রে সঙ্গে মিলিত হন। তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর পরিচয় পেয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন এবং বিশেষভাবে গৌড় গোবিন্দের অগ্নিবাণই তাদের পরাজয়ের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাকে উৎসাহ দিয়ে কোনো ভয় নেই বলে আশ্বস্ত করলেন এবং বলেন, হযরত মুসা (আঃ) যেভাবে ফেরাউনের সমস্ত জাদুকে নিষ্ক্রিয় করেছিলেনÑ আল্লাহর দয়ায় আমরাও গৌড় গোবিন্দের জাদু নষ্ট করে দেবো। তার কর্মের জন্য তার পরাজয় এবং সিংহাসনচ্যুতি সুনিশ্চিত ও অনিবার্য।
অতঃপর তারা ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে পৌঁছে দেখলেন পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর নিজের জায়নামাজ বা নামাজের চাদরে চড়ে সকলকে নিয়ে পার হন এবং গৌড় গোবিন্দের এলাকা শ্রীহট্টের দিকে অগ্রসর হন। গৌড় গোবিন্দ যখন খবর পান যে, এক মুসলিম ফকির তার শিষ্য ও সেকান্দার শাহের সৈন্যবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তার এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তখন তিনি তাদের দিকে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন কিন্তু এবারের অগ্নিবাণ কোনো ক্রিয়া না করে উল্টো গৌড় গোবিন্দের দিকে ফিরে আসতে লাগলো এবং তার সৈন্যবাহিনীর ছাউনি ধ্বংস হয়ে গেলো। গৌড় গোবিন্দ এই অলৌকিক ঘটনা দেখে নিজের প্রাণরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল (রহঃ) সদলবলে বাহাদুরপুরের নিকটবর্তী বুরাক নদী পার হয়ে জালালপুরে উপনীত হলেন। রাজা পথিমধ্যে বিভিন্ন শিলাপাথর ও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে বাধা তৈরি করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। গৌড় গোবিন্দ নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে কাছাড়ের দিকে পালিয়ে গেলেন। হযরত শাহজালাল (রহঃ) সুরমা নদী পার হয়ে শ্রীহট্ট বা সিলেট শহরে প্রবেশ করলেন।
এখানে সিলেট নামকরণে একটা কথা প্রচলিত আছে আর তা হলো হযরত শাহজালাল (রহঃ) যখন সিলেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন রাজার তৈরি করা ব্যারিকেডের শিলাপাথরকে “শিল হট যা” বলে উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে শিলাপাথরগুলো সরে গিয়েছিল বলে জানা যায়। এখান থেকেই সিলেটের নামকরণ হয়েছে বলে ধরা হয়।
সিলেট বিজয়ের পর তিনি সেকান্দার শাহকে রাজ্য বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর মুর্শিদের কথামতো তিনি তাঁর ধর্মপ্রচারের স্থানের ব্যাপারে চিন্তা করতে লাগলেন। পূর্বেই তিনি তাঁর মুর্শিদ প্রদত্ত মাটি একজনের জিম্মায় প্রদান করেছিলেন যিনি চাশনী পীর নামেও খ্যাত এবং তাঁর প্রতি আদেশ ছিল পথে এই মাটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য। এই চাশনী পীর এসে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-কে সিলেটের মাটির সঙ্গে তাঁর মুর্শিদের প্রদত্ত মাটির মিলের কথা জানালে তিনি চিন্তামুক্ত হয়ে আস্তানা গাড়ার আদেশ দিলেন।
হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সাহচার্য পাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসতে লাগলো এবং তিনি তাদের ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানদান করেন। তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনার্থে তিনি তার শিষ্যদের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারের আদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। তন্মধ্যে হযরত শাহ পরান সিলেট, হযরত শাহ মালেক ঢাকা, সৈয়দ আহমদ ওরফে কল্লাশহীদ কুমিল্লায়, চট্টগ্রামে খাজা বুরহানউদ্দিন কাত্তান ও শাহ বদরুদ্দীন, সুনামগঞ্জে শাহ্ কামাল কাত্তানী প্রমুখ। হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে ৩৬০ জন সঙ্গী হিসেবে যারা এসেছিলেন তাদের সকলের নাম জানা সম্ভব না হলেও ১৯৭৪ সালে ইংরেজি ভাষায় সিলেট ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারে ৩৫৫ জনের নাম সমৃদ্ধ একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ‘শ্রীহট্ট নূর’ গ্রন্থে ৩০৭ জন আউলিয়ার নাম পাওয়া যায়। মর্তুজা আলী ‘সুহেল ই ইয়ামেন’-এ ২৫২ জন আউলিয়ার নাম উল্লেখ করেন। আল ইসলাহে মোঃ নুরুল হক ৩২২ জন আউলিয়ার নাম উল্লেখ করেন।
হযরত শাহজালাল (রহঃ) তাঁর শেষ জীবন পর্যন্ত ধর্ম প্রচার করে গেছেন। তার ব্যবহার ও অন্যান্য গুণাবলী লক্ষ করে বহু হিন্দু এবং বৌদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করেন। বিশ্বের নামকরা পর্যটক মরক্কো তানজানিয়ার অধিবাসী শায়খ সরফ উদ্দিন আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে সিলেট সফরে এসে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। ইবনে বতুতা সিলেটকে কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত অঞ্চল বলে উল্লেখ করেন এবং সমুদ্র তীরবর্তী একটি গহিন বনভূমি বলেও বর্ণনা করেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী হযরত শাহজালাল (রহঃ) পাতলা গড়ন ও খুবই সুন্দর চেহারার অধিকারী এবং বেশ লম্বা ছিলেন। তিনি ছাগলের দুধ পান করতেন। সারা বছরই বলতে গেলে তিনি রোজা রাখতেন ও সারা রাত এবাদতে মশগুল থাকতেন। ইবনে বতুতা ‘রিহালা ইবনে বতুতা’য় হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের বিভিন্ন বর্ণনা প্রদান করেন। মোগল কবি হযরত আমির খসরুর কবিতার বইয়েও হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর সিলেট বিজয়ের উল্লেখ আছে।
হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মৃত্যুবরণের সঠিক তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু ইবনে বতুতার বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ১৫০ বছর বয়সে ৭৪৭ হিজরি ১৩৪৭ সালে ওফাত গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি সিলেটেই সমাহিত হন এবং তাঁর সমাধিস্থল দরগা মহল্লা নামে পরিচিত। তার দরগাহের পাশে এক ধরনের বিশেষ মাছের উপস্থিতি রয়েছে যা অনেকটা এদেশের গজার মাছের মতো কিন্তু তা গজার মাছ নয়। তাঁর বাৎসরিক ওরস আরবি জিলকদ মাসের ১৮, ১৯, ২০ তারিখ পর্যন্ত পালন হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্রঃ সুফি ডেস্ক

গরীবে নেওয়াজ খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (র) এর পত্র

বাংলাদেশের সুফিদের তালিকা

 



 

Thursday, February 13, 2014

বাংলাদেশের সুফিদের তালিকা

          বাংলাদেশের সুফিদের তালিকা

 

  • ইমামে রাব্বানী, সুলতানূল নেসবত, ইমামুল আউলিয়া, কুতুবুল এরশাদ, মোজাদ্দেদে জামান , স্যায়েদেনা হযরত মাওলানা শাহ সুফি ডঃ গোলাম মোরশেদ আব্দুল হালিম নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (মাঃ জিঃ আঃ), দরবারে মোজাদ্দেদীয়া, প্যারাডাইস পাড়া, টাংগাইল, বাংলাদেশ।
  • আমিরুল মোমিনিন, শাহ সুফি হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলোভী (রহঃ)
  • সৈয়দ আনছারুল হক মুর্শিবাদী হলদীবাড়ী রহ. একরামিয়া-আনছারিয়া দরবার শরীফ, উত্তম, রংপুর।
  • তাপসকুল শিরমনি , সুলতানুল আউলিয়া, জামানার মোজাদ্দেদ , হযরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ শাহ চন্দ্রপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ),চন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফ, সদরপুর, ফরিদপুর ।
  • দেওয়ান আতিক শাহ ফকির-হাটিপাড়া, মানিকগঞ্জ- ইনি হযরত দেওয়ান রশিদ-এর ঘড়ানার ফকির, দেওয়ান আতিক শাহ ফকির লেখা তাসাউফ পূন বই ইসলামের মৃতুঞ্জয়
  • সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী, ফটিকছড়ি, চট্রগ্রাম- মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা (1826-1906ইঃ)[১]
  • ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ রাহে ভাণ্ডারী, কধুরখীল, বোয়ালখালী, চট্রগ্রাম- কধুরখীল দরবাররের প্রতিষ্ঠাতা (1916-1980ইঃ)[২]
  • মৌলানা আবদুল মজিদ শাহ (রঃ), পশ্চিম কধুরখীল, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
  • শাহজালাল
  • শাহ্ পরান, সিলেট
  • সৈয়দ আনছারুল হক মুর্শিবাদী হলদীবাড়ী, একরামিয়া-আনছারিয়া দরবার শরীফ, উত্তম, রংপুর।
  • আব্দুল মুকিত সিদ্দিকী, লক্ষ্মীপুর
  • আব্দুল জলিল মজিদপুরী, তিতাস, কুমিল্লা
  • আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল মুয়ীদ, তবকপুর, উলিপুর, কুড়িগ্রাম
  • আবু কাশেম চিশতী নিজামি [পীর বাবাবাঙ্গালী] চুকাইতলা, ময়মনসিংহ।
  • আখি সিরাজুদ্দীন
  • আলাঊল হক
  • আশরাফ জাহাঙ্গীর সিনমানী
  • আতা ওহীদুদ্দীন
  • আফতাব উদ্দীন কুতুব
  • আব্দুল আলী বাকী শাহ্‌ শরীফ জিন্দানী
  • আবদুল ওহাব
  • আলী মুহম্মদ তাহির
  • আহমদ কবীর সুহ্‌রাওয়ার্দী
  • আলাউদ্দীন
  • আলাদি শাহ্‌
  • আহ্‌সান
  • আবদুর রহীম খান লাহুরী
  • আলীম উদ্দীন
  • আযম শাহ‌্‌
  • আবদুল্লাহ্‌ গাজীপুরী
  • আবদুর রহমান
  • আহমদ জৌনপুরী
  • আকালী শাহ্‌
  • আদম শহীদ
  • আব্দুর রব
  • শাহ্‌ আজমল
  • শাহ্‌ আহ্‌মদ
  • শাহ্‌ আশরাফ
  • শাহ্‌ আবুল হোসেন
  • শাহ্‌ আমানত (চট্টগ্রাম)
  • শাহ্‌ আমীন
  • শাহ্‌ আবদুর রহমান কাদেরী
  • শাহ্‌ ফাহাদ (বাঘা, সিলেট)
  • শাহ্‌ আবদুল আজীজ
  • শাহ্‌ সৈয়দ আমীর উদ্দীন (পাগলা মিয়া)
  • শাহ্‌ আয়নুদ্দীন
  • শাহ্‌ আবদুল মজিদ
  • শাহ্‌ আহসান উল্লাহ্‌
  • শাহ্‌ আবদুর রহীম শহীদ
  • শাহ্‌ আলী বাগদাদী
  • শাহ্‌ আলী
  • শাহ্‌ আবু সাঈদ
  • শাহ্‌ সূফী আমানত
  • শাহ্‌ আদম কাশ্মীরী
  • শাহ্‌ আশেকুল্লাহ্‌
  • সৈয়দ আহমদ বেরেলবী
  • সৈয়দ আহমদ শহীদ
  • সৈয়দ আহমদ
  • সৈয়দ আবু বকর
  • সৈয়দ আবু তোরাব
  • সৈয়দ আফজল
  • সৈয়দ আমজাদ আলী
  • সৈয়দ মিরান শাহ্‌
  • সৈয়দ আজ্জাল
  • সৈয়দ আখতারুজ্জ্বামান
  • সৈয়দ আলী তাবরেজী
  • সৈয়দ আবদুল খালিক বোখারী
  • আনসার আলী (শাহ্‌ সাহেব)
  • অছীয়র রহমা্ন, চরনদ্বীপ,বোয়ালখালী, চট্রগ্রাম
  • আমীরূজ্জামান শাহ, পটিয়া, চট্রগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী কাজী আছাদ আলী(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,আহল্লা দরবার,বৌয়ালখালী,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আব্দুল আজীজ(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,খিতাবচর,বৌয়ালখালী,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আব্দুর রাজ্জাক(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,সাতবাডিয়া দরবার,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আমিনুল হক হারবাংগীরী(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,বৌয়ালখালী,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আমানুল্লাহ আলী(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,বাশখালী,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আফাজুদ্দিন আলি(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,কালারমার ছডা,মহেশখালী,চট্টগ্রাম
  • হযরত শাহ ছুফী আব্দুল আজীজ(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,মংডু,মিয়ানমার,
  • ইবরাহীম শাহ্‌
  • ইবরাহীম আলী তশ্‌না
  • ইয়াকুব নূরী
  • ইমামুদ্দীন
  • ইয়ার উদ্দীন খান
  • ইবরাহীম আদমশাহ্‌ বল্‌খী
  • শাহ্‌ ইসমাঈল গাজী
  • শাহ্‌ ইউসুফ
  • শাহ্‌ মহম্মদ ইউসুফ সাহেব
  • সৈয়দ ইউসুফ
  • সৈয়দ ইবরাহীম দানিশ্‌মন্দ্‌
  • সৈয়দ ইসমাইল
  • হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আবেদ মিয়া নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ) মনোহরপুর, কাচুয়া, চাঁদপুর।

  • শাহ্‌ উমর
  • সৈয়দ উমর সমরকন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
তিনি হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সফরসঙ্গী হিসেবে এদেশে তাশরীফ আনেন। উনার মাজার শরীফ সিলেট শহরের ধোপাদিঘীর পাড়, ওসমানী জাদুঘরের সামনে অবস্থিত। উনার আওলাদগণ সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানাধীন গহরপুর পরগণার তাহিরপুর গ্রামে অবস্থান করে আসছেন। উনার আওলাদ সৈয়দ তাহির আলম খন্দকার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নামে উক্ত গ্রামের নামকরণ হয়েছে। সেখানে উনার আওলাদগণের ৫টি মাজার শরীফ রয়েছে।

  • পীরে কামেল , মোরশেদে মোকাম্মেল, হাদীয়ে আগা , খাজায়েনে রহমত, শাহেনশাহ এ তরীকা ,গাউসুল আজম হযরত মাওলানা শাহ সুফি খাজা মুহাম্মদ ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (কুঃছেঃআঃ), এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ,
  • এহরাম শাহ্‌
  • শাহ্‌ এতিম
  • শাহ্‌ এনায়েত কমরবাস্তা
  • শাহ্‌ একিম
  • হজরত এনায়েত উল্লাহ শাহ(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),পাঠানটুলি,চট্রগ্রাম,
  • হজরত এবাদুল্লাহ শাহ(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),হারবাং,চকরিয়া,
  • হজরত এয়াকুব নুরী(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),আলিপুর,নোয়াখালী,
  • হজরত এয়াকুব গাজী(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),শ্রীপুর,নোয়াখালী,
  • হজরত এখলাছুর রহমান(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),বহ্দ্দারবাড়ী,বহ্দ্দারহাট,চট্রগ্রাম,
  • হজরত এজাবত উল্লাহ(রঃ)(খলিফাএ গাওসুল আজম মাইজভাণ্ডারী),বক্তপুর,ফটিকছড়ি,চট্রগ্রাম,

  • হযরত মাওলানা শাহ-সুফী ওয়াজেদ আলী মেহেদীবাগ, কলকাতা।
  • হযরত মাওলানা ওয়াজিদ আলী শাহ
  • শাহ্‌ ওসমান
  • হজরত ওবায়দুল হক মিয়া(রঃ),(খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)চকবাজার,চট্রগ্রাম,
  • হজরত ওবায়দুর রহমান(রঃ),(খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)নানুপুর,ফটিকছড়ি,চট্রগ্রা্‌ম,
  • হজরত ওবায়দুল্লাহ চৌধুরী(রঃ),(খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)মিরশ্বরাই,চট্রগ্রাম,

  • হযরত কাউছার শাহ (জিন্দার শাহ) রহঃ- মানিকগঞ্জ- হযরত কাউছার শাহ-এর লেখা বই-নেয়ামত খোদা
  • হযরত মাওলানা শাহ সুফি কুতুব উদ্দীন আহমদ মাতুয়াইলী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ), মাতুয়াইল, ঢাকা।
  • কুদওয়াতুছ ছালেকীন,জুবদাতুল আরেফীন,কুতুবুল ইরশাদ,পীরে কামেল,শাহ্ সুফী,প্রফেসর,আল্লামা,হজরত মাওলানা আব্দুল খালেক (রহঃ)। ছতুরা শরীফ,আখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
  • কাজী মাসউদ শাহ্‌ বাগদাদি ( ধলপুর )
  • কাবুল শাহ্‌ বাগদাদি
  • কুতুবুদ্দীন বখ্‌তিয়ার কাকী
  • কিরামত আলী জৌনপুরী
  • কসিম উদ্দীন শাহ্‌
  • কতল পীর
  • কাকুলী শাহ্‌
  • কালা মানিক
  • কুতুব উদ্দীন আউলিয়া
  • কাজেম মুহম্মদ চৌধুরী
  • কালাপীর
  • কাজী করম উল্লাহ্‌
  • কাজী মুবক্‌কিল
  • কাশ্মীরী শাহ্‌ সাহেব
  • কালাচাঁদ শাহ্‌
  • শাহ্‌ কলন্দর
  • শাহ্‌ কায়েম উল্লাহ্‌ সাহেব
  • শাহ্‌ কিনগার
  • শাহ্‌ কামাল
  • শাহ্‌ কুতুব উদ্দীন
  • শাহ্‌ কালু
  • শাহ্‌ কালা মুজর্রদ
  • শাহ্‌ কামাল উদ্দীন
  • শাহ্‌ করম আলী
  • শাহ্‌ করিম হায়দার
  • সৈয়দ কালা শাহ্‌
  • সৈয়দ কাসেম উদ্দীন
  • হজরত কাজি মনওয়ার আলী(রঃ)(খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)বডউঠান,আনোয়া্রা,চট্রগ্রা্‌ম,
  • হজরত কাজি আব্দুল বারী(রঃ) (খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)সাতকানীয়া,চট্রগ্রা্‌ম,
  • হজরত কালা মিয়া চৌধুরী(রঃ) (খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)
  • হজরত কাজি মোছাহেব উদ্দিন শাহপুরি(রঃ) (খলিফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী)শাহাপুর,কুমিল্লা,
  • সর্বশ্রেষ্ঠ ওলিয়ে কামেল মাশুকুল মাওলা, আখেরি গাওসুল আযম মাহবুবে রব্বানি হযরত মাওলানা শাহ্‌ হাবিবুর রহমান (রহঃ) (স্থানঃ গ্রাম-মইয়ার চর,সিলেট সদর।)
  • খান জাহান আলী
  • খান-ই-জাহান
  • খুদা ফকির
  • খলীল
  • খান সাহেব
  • খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী
  • খাজা আনোয়ার
  • খাজা আদিনা
  • খাজা আজীজ চিশ্‌তী
  • খাজা কলান দানিশ্‌মন্দ্‌
  • খাজা গুলজার শাহ্‌
  • খাজা নূর
  • খাজা নাসির উদ্দীন (শাহ্‌ চট)
  • খাজা বাহা উদ্দীন নক্‌শবন্দিয়া
  • খাজা মুহম্মদ বাকীবিল্লাহ্‌
  • খাজা বুরহান উদ্দীন কেতান
  • খাজা শাহ্‌ লস্‌কর মোল্লা
  • খাজা সলিম (তায়েফ সলিম)
  • খাতাই শাহ্‌
  • শাহ্‌ খেলতা
  • শাহ্‌ খুর্দ
  • কুতুবে রব্বানি হাবিবে সোবহানি শাহ্‌ সুফি হযরত ইনামুদ্দিন পাত্তাশাহ খোরাসানি (রহ),মইয়ার চর, সিলেট।
  • গঙ্গা শাহ্‌
  • গরম দেওয়ান
  • গরীব শাহ্‌
  • গাবরু সাহেব
  • গোলাম হযরত
  • গোরা সৈয়দ সাহেব
  • গোরা শহীদ সাহেব
  • গোরা পীর
  • খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী, গাউসুল আজম বিল বেরাছাত, কুতুবু্ল আকতাব হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (কঃ),প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী,
  • গাজী ইসমাঈল হোসেন শহীদ
  • গাজী শাহ্‌ কামাল
  • গাজী সাহেব
  • হজরত শাহ্‌ ছুফী গরীবুল্লাহ্ শাহ্,দামপাডা,চট্রগ্রাম,
  • শাহ্‌ গোলাপ
  • শাহ্‌ মুহম্মদ গওরাজ
  • সৈয়দ মুহম্মদ গাউস জিলানী
  • শাহ ছুফী গোলাম রহমান(রঃ),খলীফাএ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী,বরিশাল
  • হযরত মাওলানা হাফেজ শাহ মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম আল-চিস্তী, আজমেরী(রহঃ) মনোহরপুর, কচুয়া, চাঁদপুর।

  • চিহিল গাজী
  • চল্লিশ আউলিয়া
  • চিন্‌কি মস্তান
  • চাষনী পীর
  • চংশাহ্‌
  • চাঁদ শাহ্‌
  • চেরাগ আলী শাহ্‌
  • শাহ্‌ চেরাগ আলম
  • শাহ্‌ চাঁদ আউলিয়া

  • আওলাদে রাসুল(সাঃ) আওলাদে অছীয়ে গাউসুল আজম, বিশ্ব অলী শাহেনশাহ হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)
  • ছৈয়দ জাফর ছাদেক রাহে ভান্ডারী (রাহে ভান্ডার দর্শনের বর্তমান দীক্ষাগুরু, রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ, জন্ম ২১ মার্চ ১৯৬২ ইং) [১৩][১৪][১৫][১৬][১৭][১৮]
  • জাফর খান আজী
  • জালাল উদ্দীন তাবরেজী
  • জিন্দা পীর
  • জিয়া সাহেব
  • শাহ্‌ জালাল
  • শাহ্‌ জালাল উদ্দীন
  • শাহ্‌ জালাল মুজর্রদ-ই-ইয়ামনী
  • শাহ্‌ জালাল দাকিনী
  • শাহ্‌ জালাল বোখারী
  • শাহ্‌ জালাল মাহি সওয়ার
  • শাহ্‌ জামাল
  • শাহ্‌ জায়েদ
  • শাহ্‌ জিয়া উদ্দীন
  • শাহ্‌ জাকি উদ্দীন
  • সৈয়দ জকিমুদ্দীন হোসাইনী
  • সৈয়দ জাহান শাহ্‌ সঞ্জর
  • চআন মসতান

  • ঝাণ্ডা ঝক্‌মক

  • টুনটুনি শাহ্‌

  • ডোঙ্গা শাহ্‌

  • তশ্‌না শাহ্‌
  • তুর্কান শাহ্‌
  • তুরকান শাহ্‌
  • তোফায়েল উদ্দীন শাহ্‌
  • শাহ্‌ তকী উদ্দীন (মুহম্মদ তকী)
  • শাহ্‌ তাজ উদ্দীন
  • শাহ্‌ সৈয়দ তাজ উদ্দীন
  • হযরত সৈয়দ তাহির আলম খন্দকার রহমতুল্লাহি আলাইহি
(তিনি হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সফরসঙ্গী সৈয়দ উমর সমরকন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আওলাদ। উনার আওলাদগণ সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানাধীন গহরপুর পরগণার তাহিরপুর গ্রামে অবস্থান করে আসছেন। সৈয়দ তাহির আলম খন্দকার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নামানুসারে উক্ত গ্রামের নামকরণ হয়েছে। সেখানে সৈয়দ উমর সমরকন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আওলাদগণের ৫টি মাজার শরীফ রয়েছে। [১৯]

দ ও ন

  • গাজী এ বালাকোট হজরত সুফি নূর মুহম্মদ নিজামপুরী(রহঃ) , মীরশ্বরাই,চট্রগ্রাম,
  • সুলতানে গাউসুল আজম, আউলাদে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী, অছীএ গাউসুল আজম খাদেমুল ফোকরা হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ)
  • দাদা পীর
  • দাওর বখ্‌শ্‌ খতীব
  • দাউদ শাহ্‌
  • দেওয়ান গাজী রহমান
  • দেওয়ান ফতেহ মুহম্মদ
  • দেওয়ান শাহাদত হোসেন
  • দেওয়ান শাহ্‌ হুসেন আল-কাদ্‌রী আল হোসেনী
  • দুদু মিয়া (মহ্‌সিন উদ্দীন আহমদ)
  • দাল শাহ্‌
  • শাহ্‌ দরবেশ
  • শাহ্‌ দুদা কনুল
  • শাহ্‌ দারাব উদ্দীন গাজী
  • শাহ্‌ দৌলাহ্‌
  • শাহ্‌ পীর
  • খলীফায়ে গাউছুল আজম শহর কুতুব হয়রত নজির শা্হ্ মাইজভাণ্ডারী,চট্রগ্রাম ষ্টেশন রোড
  • নফিসুর রহমান হক্কোন্‌নূরী
  • নূর কুতুব আলম
  • নেকবাবা
  • নিমাই পীর
  • নির্মল বীবী (নিমি)
  • নিজামুদ্দীন আউলিয়া
  • গাজীএ বালাকোট হজরত শাহ ছুফি নূর মুহম্মদ(রঃ) নিজামপুরী, মীরশ্বরাই,চট্রগ্রাম,
  • নূর উল্লাহ্‌ (শাহ্‌ নূর)
  • নূর উদ্দীন
  • নূর সুঙ্গ শাহ্‌
  • শাহ্‌ নূর
  • শাহ্‌ নিয়ামত উল্লাহ্‌ম
  • সৈয়দ নাসির উদ্দীন শাহ্‌ আউলিয়া
  • সৈয়দ নাসির উদ্দীন সিপাহ্‌শালার
  • সৈয়দ নেক মর্দান
  • সৈয়দ নূরুজ্জামান
  • সৈয়দ খাজা নহির উদ্দীন আহমদ (নূহ্) কালিমী (মাঃ জিঃ আঃ) নাজিরপুর, রাজাবাড়ী হাট, গোদাগাড়ী, রাজশাহী ।

  • পীর জয়ন্তী
  • পীর আলী মুহম্মদ তাহের (পীরালী মুসলমান)
  • পীর বদর উদ্দীন
  • পীর মানিক জাহান
  • পাগল দেওয়ান
  • পূর সদরুদ্দীন সাহেব
  • পীর জহীর উদ্দীন আহমদ সাহেব
  • পাঁচ পীর
  • শাহ্‌ পীর জঙ্গলী
  • শাহ্‌ পীর
  • শাহ্‌ পাতা

  • কুতুবোল এরশাদ, রাসুলে নোমা, হযরত মাওলানা শাহ-সুফী ফাতেহ আলী ওয়াছি (রহঃ) মানিক্তলা, কলকাতা।
  • ফতেহ্‌ খান
  • ফতেহ গাজী
  • ফজলুল্লাহ্‌
  • ফজল মিয়া
  • শাহ্‌ ফরীদ
  • শাহ্‌ মুহম্মদ ফরীদ উদ্দীন (ফরীদ শাহ্‌)
  • শাহ্‌ ফতেহ্‌ উদ্দীন
  • শাহ্‌ ফরঙ্গ
  • ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চিশ্ তী
  • হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ) মনোহরপুর, কচুয়া, চাঁদপুর, নেসবতে শাহ-জৌনপুরী (রহঃ)।

  • বাবা ফারিদ উদ্দিন আহ্ মেদ ছিস্ত্তি (রঃ)
  • বিবি কামাল
  • বু-আলী শাহ্‌ কলন্দর
  • বদর আলম
  • বদর আলম জাহেদী
  • বধ্‌না শাহ্‌
  • বিবি সুয়া
  • বালা শহীদ সাহেব
  • বনপীর সাহেব
  • বনবনিয়া শাহ্‌
  • বন্দিগী শাহ্‌
  • বাগদার আলী শাহ্‌
  • বাদশাহ্‌ মিয়া
  • বাপনিয়া
  • বঙ্গী শাহ্‌
  • বখতিয়ার মৈসুর
  • বুড়া খান
  • বুরহান উদ্দীন
  • বড় পীর সাহেব
  • হজরত বদর শাহ্(রঃ)‌ বা বদর পীর,জেল রোড,চট্রগ্রাম,
  • বাবা আদম
  • বাবা বাহার শাহ্‌
  • বাবা সালেহ
  • বানদা রিজা শাহ্‌
  • বোরহান উদ্দীন শার্খজ
  • শাহ্‌ বদলোল মাস্তান
  • শাহ্‌ বল্‌খী
  • শাহ্‌ বাহার আল্লাহ্‌
  • শাহ্‌ বোদলা
  • শাহ্‌ বাদল
  • শাহ্‌ বদর উদ্দীন আল্লামা
  • শাহ্‌ বাহা উদ্দীন
  • শাহ্‌ বারিক
  • শাহ্‌ মুহম্মদ বাবুর
  • সৈয়দ বদীউজ্জামান
  • সৈয়দ বুরহান উদ্দীন

  • গাউসুল আজম , আমীরুজ্জাকেরীন , হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক শ্যামলীবাগী এনায়েতপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী আল-ওয়েসী (রহঃ),৩৭,শ্যামলীবাগ, শ্যামলী,ঢাকা।
  • কুতুবুল আলম , ইমামুল আউলিয়া, কুতুবুল এরশাদ, শাহান শাহে তরিকত, মোজাদ্দেদে জামান , স্যায়েদেনা হযরত মাওলানা শাহ সুফি মকিম উদ্দিন আহমেদ নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (কোঃ ছেঃ আঃ), দরবারে মোজাদ্দেদীয়া, প্যারাডাইস পাড়া, টাংগাইল, নেছবতে শাহ-এনায়েত পুরী (রহঃ)।
  • হযরত মাওলানা শাহ সুফি ময়েন উদ্দীন খান জামালপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ), জামালপুর।
  • হযরত মোহাম্মদ মুনছুর শাহ-কুষ্টিয়া-ইনি দেওয়ান আব্দুর রশিদ এর খালিফা, হযরত মোহাম্মদ মুনছুর শাহ ১৪৮ বছর জীবিত ছিলেন, হযরত মোহাম্মদ মুনছুর শাহর ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ ভক্ত ছিল
  • হযরত মোহাম্মদ নোয়াব আলী তালুকদার-বিলপল্লী, নবাবগঞ্জ, ঢাকা-ইনি দেওয়ান আব্দুর রশিদ এর খালিফা, হযরত মোহাম্মদ নোয়াব আলী তালুকদার ১00 বছর জীবিত ছিলেন
  • হযরত মোহাম্মদ নওশের আলী তালুকদার-বিলপল্লী, নবাবগঞ্জ, ঢাকা-ইনি হযরত মোহাম্মদ নোয়াব আলী তালুকদার এর খালিফা-ইনি বাকা স্তরের ওলী ছিলেন
  • মোঃ আফছার আলী (মা), শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
  • মখদুম শাহ্‌ হোসেন
  • মখদুম গরীবুল ইসলাম
  • মখদুম জাহাঁনিয়া জহাঁগস্‌ত
  • মখদুম শাহ্‌ দৌলাহ্‌ শহীদ
  • মখদুম হাবীব (মখদুম সাহেব)
  • মখদুম জাফর গজনবী
  • মওলানা আতা
  • মওলানা আবদুল্লাহ্‌
  • মওলানা হাশিম
  • মস্তান শাহ্‌
  • মহির উদ্দীন
  • মজযুবা বিবি
  • মরয়েম সানি হাসমত উল্লাহ্‌ মোজাদ্দেদ
  • মাহ্‌মুদ
  • মানিক পীর (পীর মানিক)
  • মাশুকুল মাওলা
  • মুহম্মদ জাকারিয়া কুরায়শী
  • মুকসিদ গাজী শাহ্‌
  • মুকসিদ গাজী শাহ্‌ কামাল
  • মুহম্মদ হানিফ
  • ময়দান মিয়া সাহেব
  • মিয়া সাহেব
  • মিয়া সাহেব বাগদাদী
  • মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ (মা)
  • মোহাম্মদ ইউসুফ (সূফী)|মোহাম্মদ ইউসুফ
  • মোখতার শহীদ
  • মীর কুতুব শাহ্‌
  • মীর মুশায়েখ
  • মীর সৈয়দ জালাল উদ্দীন বোখারী
  • মীর সৈয়দ সুলতান মাহি সওয়ার
  • মুন্‌শী জিনাতুল্লাহ্‌ সাহেব
  • মুফতী আমীমুল ইহসান
  • শাহ্‌ মখদুম রূপোস
  • শাহ্‌ মাহ্‌মুদ
  • শাহ্‌ মুহম্মদ
  • শাহ্‌ মাদার খাঁ
  • শাহ্‌ মুয়াজ্জম দানিশ্‌মন্দ্‌
  • শাহ্‌ মুহসিন আউলিয়া
  • শাহ্‌ মোল্লা মিশ্‌কিন
  • শাহ্‌ মুবারক আলী
  • শাহ্‌ মঈনুদ্দীন
  • শাহ্‌ মদন
  • শাহ্‌ মালেক ইয়ামীন
  • সৈয়দ মুস্তফা
  • সৈয়দ মুকাররম

  • দেওয়ান আব্দুর রশিদ চিশতী, ঝিটকা, মানিকগঞ্জ- (1830-1940) দেওয়ান আব্দুর রশিদ-এর লেখা বই-জ্ঞাণ সিন্দু, দেওয়ান রশিদ, অন্ধের চক্ষু দান
  • সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরী
  • রওশন চেরাগ
  • রাস্তি শাহ্‌
  • শাহ্‌ রওশন আলী
  • শাহ্‌ রুক্‌ন্‌ উদ্দীন
  • শাহ্‌ সৈয়দ রুক্‌ন্‌ উদ্দীন
  • শাহ্‌ রহীম
  • সৈয়দ রেজা হুসেন

  • ফকির লালন সাঁই
  • শাহ্‌ লঙ্গর
  • সৈয়দ লাল

  • হযরত মাওলানা শাহ সুফি খাজা সাইফুদ্দীন শম্ভুগঞ্জী এনায়েতপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ), শম্ভুগঞ্জ, ময়মনসিংহ ।
  • হযরত মাওলানা শাহ সুফি সামসুদ্দীন আহমদ ফরিদপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ), ব্রাম্মন্দী জাকের ভবন ,সদরপুর, ফরিদপুর ।
  • মুসতামিউস সুন্নী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী আল্-কাদরী আল্-চিশতী (মা:জি:আ:), লক্ষ্মীপুর
  • শরাফত আলী
  • শামসুদ্দীন তাবরেজী
  • শাহ্‌ শরীফ জিন্দানী
  • শাহ্‌ শামসুদ্দীন
  • শাহ্‌ শামস্‌ উদ্দীন
  • শাহ্‌ সৈয়দ শামসু উদ্দীন
  • শাহ্‌ সাইয়্যেদ নযরে ইমাম মুহাম্মাদ
  • শাহ্‌ শের আলী তাতার
  • শেখ শাহাবুদ্দীন আমর সুহ্‌রাওয়ার্দ্দী
  • শেখ শাহাবুদ্দীন জিকরিয়া মুলতানী
  • শেখ শরফুদ্দীন তাওয়ামাহ্‌
  • শেখ শরফুদ্দীন মানেরী
  • শেখ শরফুদ্দীন ইয়াহ্‌য়া মানেরী
  • শেখ আহমদ দামিশ্‌কী
  • শেখ আলী ইয়েমেনী
  • শেখ করম মুহম্মদ শাহ্‌
  • শেখ খিজির
  • শেখ খিজির দাস্তদবীর
  • শেখ গরীব আফগানী
  • শেখ জয়েন উদ্দীন সোহেল বাগদাদী
  • শেখ জালাল হলবী
  • শেখ জকাই
  • শেখ তাওফিক
  • শেখ নূর কুতুব উল আলম
  • শেখ পীর
  • শেখ ফরীদ
  • শেখ ফরীদ আনসারী
  • শেখ রুক্‌ন‌ উদ্দীন
  • শেখ শামসুদ্দীন (শেখ শামসুদ্দীন বিহারী)
  • শেখ সিরাজ উদ্দীন আউলিয়া
  • শেখ হোসেন ধুক্কার পোশ
  • শিতালং শাহ্‌ (মুনসী সলিম)
  • সৈয়দ শাহ্‌ শামসু উদ্দীন
  • সৈয়দ শামস্ উদ্দীন
  • সৈয়দ শাহেমুর
  • শাহ সূফী বোরহান আলম আল চিশতী আল নিযামী
  • শাহ সূফী আব্দুস সালাম আল চিশতী আল নিযামী
  • শাহ সূফী আব্দুল মান্নান আল চিশতী আল নিযামী
  • সমির উদ্দীন নকশাবন্দী
  • সাদুল্লাহ্‌ বন্দেগী
  • সায়েদুল আরেফীন
  • সাহ্‌দ উদ্দীন
  • সুজান শাহ্‌
  • সূফী দায়েম
  • সূফী বাহা উদ্দীন
  • সুহন শাহ্‌
  • সৈয়দ সাহেব
  • সৈয়দ শাহ্‌ সূর্খ খুল আনতীয়াহ
  • সুয়া বিবি
  • শাহ্‌ সাহেব
  • শাহ্‌ সুলতান
  • শাহ্‌ সুলতান বল্‌খী
  • শাহ্‌ সুলেমান করনী কুরায়শী
  • শাহ্‌ সদর উদ্দীন কুরায়শী
  • শাহ্‌ সিকান্দার
  • শাহ্‌ সৈয়দ মুহম্মদ সাদেক গমনাম
  • শাহ্‌ সাদিক
  • শাহ্‌ মুহম্মদ সুলতান রূমী

  • হযরত মাওলানা শাহ সুফি হাসমতুল্লাহ ফরিদপুরী নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ), বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ,আটরশী ,সদরপুর, ফরিদপুর ।
  • আব্দুল হাকিম, সাতক্ষীরা
  • হাকিম ফকির
  • হাকিম সৈয়দ কাসেম
  • হামিদ শাহ্
  • হাসিলা পীর
  • হামিদ দানিশ্‌মন্দ্‌
  • হাবীবুল্লাহ্‌
  • হাবীবুল্লাহ্‌ মোজাদ্দেদ
  • হাসান শাহ্‌
  • হুসেন মুরিয়া বাগদাদী
  • হযরত চিশতী
  • হযরত লাল
  • শাহ্‌ আহসান উল্লাহ্‌
  • শাহ্‌ কামাল
  • শাহ্‌ শামসুদ্দীন
  • শাহ্‌ হাবিবুর রহমান খোরাসানি
  • হাজী ইউসুফ
  • হাজী গাজী
  • হাজী দরিয়া
  • হাজী বাবা সালেহ্‌
  • হাজী শরীয়ত উল্লাহ
  • হোব্বে আলী শাহ্‌
  • হযরত মাওলানা শাহ সুফী মোহাম্মদ হারূনুর রশিদ নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী (রহঃ) মনোহরপুর, কচুয়া, চাঁদপুর।

  • শাহ্‌ হাফিজ ফকির
  • শাহ্‌ হেলিম কুরায়শী
  • শাহ্‌ হারুন
  • শাহ্‌ হিলাল
  • শাহ্‌ হাসিম
  • শাহ্‌ হুসাইন
  • শাহ্‌ হাকিম
  • শাহ্‌ হাবীব
  • সৈয়দ হোসেন হায়দার
  • সৈয়দ হয়দার

তথ্যসূত্র:   উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হযরত শাহ্জালাল (রহঃ)-এর জীবনী (৫৯৭ হিঃ-৭৪৭হিঃ) (১১৯৭-১৩৪৭)

হযরত শাহ্‌ পরান ইয়েমেনী (রহঃ)-এঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী

 

 

হযরত শাহ্‌ পরান ইয়েমেনী (রহঃ)-এঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী

শাহ পরা্ন (রহঃ) এর পুর্ব পুরুষগণ মুলত বোখারীর শহরের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর উধ্বতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন(রহঃ), বোখারী হতে ধর্ম প্রচারে জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্থানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরাণের পিতা মোহাম্মদ (রহঃ)ও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মাতা হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) আত্মিয় সম্পর্কে বোন ছিলেন। সে হিসেবে তিনি (শাহ পরা্ন (রহঃ) ) হচ্ছেন হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর ভাগিনেয়। শাহ পরাণের বয়স যখন ১১ বত্সর তখন তিনি তাঁর পিতাকে হারান। পরবর্তিকালে তাঁর আত্মিয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবির (রহঃ) এর কাছে তিনি ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে নেশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমীন (রহঃ) এর স্মরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন। হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) যখন বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি (শাহ পরা্ন (রহঃ)) খবর পেয়ে মামার সহচার্য লাভের আশায় হিন্দু স্থানে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরা্ন (রহঃ) সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তিকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর নির্দেশে তিনি (শাহ পরা্ন (রহঃ)) সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দুরবর্তি দহ্মিণকাছ পরগণাস্থিত খাদেম নগর এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বসতি স্থাপন করেন এবং এখানেই জীবনের শেষ সয়ম পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন।

শাহ পরা্ন (রহঃ) এর মাজার সিলেট শহরের একটি পুণ্য তীর্থ বা আধ্যাতিক স্থাপনা। যা হচ্ছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরা্ন (রহঃ) এর সমাধি। এটি সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিম নগর এলাকায় অবস্থিত। হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ দুরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত। হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর দরগাহর মতো এ মাজারেওপ্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঐতিহাসিক মুমিনুল হক সহ অনেকেই লিখেছেন; সিলেট বিভাগ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শাহ পরা্ন (রহঃ) এর দ্বারা মুসলিম ধর্ম বিশ্বাষ ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার হয়েছে।

সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার উপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নীচে রয়েছে শাহ পরা্ন (রহঃ) এর মাজার। মাজার টিলায় উঠা নামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গনে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু দেখায়। এই সিঁড়িটি মোগল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মোগল বাদশাদের স্থাপত্বকীর্তিতে নির্মিত তিনটি গুম্বজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫ শত মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা থেকে প্রায় ১৫/২০ ফুট দহ্মিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক ছালা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দহ্মিণ পুর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মুলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) সিলেট আগমন কালে দিল্লী থেকে আসার সময় নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহঃ) পদত্ত এক জোড়া কবুতর (সিলেটি উচ্চারণ - কৈতর) সঙ্গে আনেন। কবুতর জোড়া সিলেট নিয়ে আসার পর বংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর কবুতর বলে জালালী কৈতর নামে খ্যাত হয়। ধর্মীয় অনূভূতির কারণ এ কবুতর কেহ শিকার করতো না। শাহ পরাণ এ বিষয়টি আমলে না নিয়ে, প্রতি দিন একটি করে কবুতর খেতেন। কবুতরের সংখ্যা কম দেখে হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) অনুসন্ধানে মুল ঘটনা জেনে রুষ্ট হন। একথা শাহ পরা্ন (রহঃ) জানতে পেরে গোপন করে রাখা মৃত কবুতরের পাক হাতে উঠিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে বললেন; আল্লাহর হুকুমে কবুতর হয়ে হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) এর কাছে পৌছে যাও। সাথে সাথে পাক গুলো এক ঝাক কবুতর হয়ে শাহ জালালের কাছে পৌছে গেল। হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী (রহঃ) ভাগিনেকে ডেকে বললেন; তোমার অলৌকিক শক্তি দেখে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি । কিন্তু এ ভাবে প্রকাশ্যে কেরামত প্রকাশ করা সঠিক নয়। সব মানুষের বুঝ শক্তি এক রকম হয় না। এ ভাবে কেরাত প্রকাশের কারণ মানুষ ভুল ব্যাখ্যায় পতিত হতে পারে। এরপর শাহ পরাণকে খাদিম নগর এলাকায় ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দিয়ে সেখানে পাঠিয়ে দেন। শাহ পরাণ খাদিম নগরে ইসলাম প্রচারে তাঁর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিজেকে ব্যস্ত রাখেন এবং এখানেই তিনি চির নিদ্রায় শায়িত হন।



তথ্যসূত্র-আধ্যাত্মিক-সাধু-সন্ন্যাসী 


                                               বাংলাদেশের সুফিদের তালিকা দেখুন

Contact Form

Name

Email *

Message *