মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?

আপনার একটু সাহায্য , এই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারে- এগিয়ে আসুন
লিঙ্ক - http://www.share1save1.com

সুফি নামের উৎপত্তিঃ-

‘সুফি’ শব্দটির সূচনা নিয়ে সরিয় পণ্ডিতগনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লামা লুৎফি জুময়া তার নিজ প্রবন্ধ ‘তারিখে ফালাসিফাত ইসলাম’–এ মতামত ব্যক্ত করেছেন যে, ‘সুফি’ শব্দটি গ্রীক শব্দ। ‘সুইউসুফিয়া‘ শব্দ থেকে উৎপত্তি। গ্রীক ভাষায় এর অর্থ ‘স্রষ্টার জ্ঞান’ কারন সুফিও একজন বিজ্ঞানী। কেননা তিনি প্রভুর জ্ঞান সাধনায় সর্বদা মত্ত থাকেন। আর যিনি প্রকৃত অর্থেই সুফি তিনি আত্নসাধনার মাধ্যমে স্রস্টা ও সৃষ্টিজগতের গভীরতম রহস্যভেদ উদ্ঘাটনে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন এবং স্রস্টা ও সৃষ্টিকৌশলের রহস্য উদ্ঘাটনে সফল হন। আর এটিই স্রস্টা প্রদত্ত জ্ঞান। ইসলাম ধর্মে বলে সুফি ধর্মের অপর নামই ‘তাসাউফ’ শাস্ত্র। তাসাউফ’ শব্দটির মৌলগত ধ্বনি ‘সাউফ’ অর্থ পশম। ‘তাসাউফ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ পশমি পোশাক পরিধান করা। এই ‘সাউফ’ শব্দ থেকেই ‘সুফি’ শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে। পরিভাষিক অর্থে- সুফি-দরবেশ, পীর-ফকির, ওলি-আল্লাহ্‌ লোকদের বুঝায়। আমরা শেখ আবুল হাসান আলী হাজাবেরি দাতাগঞ্জ লাহোরি কতৃক রচিত গ্রন্থ ‘কাশফুল মাহজুব’-এ দেখতে পাই ‘তাসাউফ’ শব্দের মৌলিক তত্ত উৎঘাটন করতে গিয়ে কেউ কেউ মত দিয়েছেন যে, সুফিগন পশমি কাপড় পরিধান করতেন বলেই তাদেরকে সুফি নামে অভিহিত করতেন। কারন, আরবি ভাষায় পশমের প্রতিশব্দ ‘সাউফ’। আবার অনেকেই বলছেন যে, ‘সুফিগন মুসলিম জগতে প্রথম সাফ বা প্রথম সারির লোক বলে তাঁদেরকে সুফি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর একদল পণ্ডিতদের অভিমত হোল ‘সাফা’ শব্দ থেকেই ‘সুফি’ শব্দের উদ্ভব। সুফিগন নফস তথা আত্নার পরিশুদ্ধি লাভে ব্রত থাকেন বলেই তাঁদেরকে ‘সুফি’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মুসলিম মনীষী আবুল হাসান নুরী জুনায়েদ, হযরত আবু বকর শিবলি, আবু হাফস উমর বিন মুহাম্মদ সহরোয়ারদি, মৌলানা জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ যে ব্যাখা দিয়েছেন তাতে এই কথাই প্রমানিত হয় যে, আল্লাহ্‌ তার রসূলের নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থাকেই নিষ্ঠার সাথে প্রতিফলন করাই সুফিদের ধর্ম। যেমন মুহসিনের ইহসান যে কথা, সুফি ‘তাসাউফ’ও একই কথা। দৃষ্টান্ত স্বরূপ হযরত হাসান বসরি (রাঃ) তার ‘কাশফে মাহজুব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আমি বদর যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবীর দর্শন লাভ করেছি যারা পশমি পোশাক পরিহিত ছিল। হযরত আবু বকর সিদ্দিকও পশমি পোশাক পরিধান করতেন। হযরত ওয়াসিস কুরুনিও পশমি পোশাক পরতেন। মুসলিম দুনিয়াতে সর্ব প্রথম যিনি ‘সুফি’ নামে অভিহিত হন, তিনি হচ্ছেন সুফি আবুল হাসিম। তিনিই সর্বপ্রথম সুফিবাদের উপর একখানি গ্রন্থ রচনা করেন। ৫০ হিজরি সনে তিনি ইন্তেকাল করেন। সম্ভবত তিনি নিরহংকার জনিত পশমি পোশাক পরতেন বলেই মানুষ তাকে ‘সুফি’ নামে অভিহিত করেছিলেন। সুতরাং অধিকাংশ তত্ত জ্ঞানীর উক্তি থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আরবি ‘সাউফ’ শব্দ থেকেই ‘সুফি’ শব্দটির সূচনা হয়েছে। যার অর্থ পশম এবং ‘সুফি’ শব্দের অর্থ- পশমি পোশাকধারী ব্যক্তি। (সুফি সাধনার জন্য পশমি পোশাক পরিধানের কোন বাধ্যবাধকতা নাই।) 


লিখেছেন- আক্তারুল আলম

অনুরাগের বীণা বাজিয়ে- কথা-ভিডিও-অডিও

যদি আমায় ভালোবাসো

তবে নব সেজে এসো

এসে বইসো আমার হৃদয় মন্দিরে

অনুরাগের বীণা বাজিয়ে

এসো হে দয়াল অপরূপ সাজিয়ে

 অনুরাগের বীণা বাজিয়ে।

খাজা খান জাহান অলি বড় আউলিয়া

আজমিরে কুতুবে মইনুদ্দিন চিশতিয়া,

বাগদাদে আলফেসানি মোহাম্মদের কাদ্রিয়া

আবার বু আলী কলন্দর ছিলেন খোয়াব খিযির খিজ্রিয়া

অয়াইস কারনি পাগল আসিয়ে

অনুরাগের বীণা বাজিয়ে।

সৃষ্টি হয়ে নবী গোপন বেসে

সত্তর হাজার বছর ছিলেন ময়ূর এর বেশে,

অধীন কাঙ্গাল বলে পাপী তাপী উম্মত এর লাগিয়া

আবার অবশেষে আসলেন নবী মানুষের রুপ ধরিয়া।

তুমি সাল্লেওয়ালা, তুমি কাম্লিওয়ালা

নবী

তুমি সাল্লেওয়ালা, তুমি কাম্লিওয়ালা

 নুর পেয়ালি নুরালী হয়ে

অনুরাগের বীণা বাজিয়ে

এসো হে দয়াল অপরূপ সাজিয়ে

 অনুরাগের বীণা বাজিয়ে।

কথা- ডাঃ নুরুল ইসলাম
শিল্পী- রাজিব শাহ্‌
এমপি৩ ডাউনলোড - অনুরাগের বীণা বাজিয়ে

ভিডিও-